পবিত্র জীবনী (১২তম পাতা)
শাকীক ইবনে ইব্রাহীম বালখী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৯৪ হিজরী : ৮১০ খৃস্টাব্দ)
নিজের সমুদয় সম্পত্তি দান করে যান। ওয়ারিসগণ যার জন্য উত্তরাধিকার থেকে কাফনের পয়সা যোগাড় করতে পারেনি। যুহদ সায়রে তিনি তাকওয়া নৌযানের নাবিক। বিশ বছর ধরে কুরআনী আমল করে দুনিয়াকে আখেরাত থেকে পৃথক করেছেন। মাখলুকের হস্তগত সম্পদের তুলনায় আল্লাহ তাআলার নিকট গচ্ছিত সম্পদের প্রতি অবিচল আস্থা ছিল। প্রাচ্যের যাহিদ সূর্য। মুত্তাকীদের চেরাগ ও বাতিঘর। খুরাসানের বি...
ইউসুফ ইবনে আসবাত রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৯৫ হিজরী : ৮১০ খৃস্টাব্দ)
যুহদের সূর্যালোকে খায়েশ ও প্রবৃত্তির আঁধার দূরীভূত করেছিলেন। চল্লিশ বছর পর্যন্ত জীবন কাটিয়ে দিয়েছিলেন তখনও পর্যন্ত দুটি জামাও ছিল না। যার ইজ্জত নিয়ে দুনিয়াদার লোকেরা প্রতিযোগিতা করে না এবং যার লাঞ্ছনায় কেউ আফসোসও করে না। দুনিয়ার বাদশাহগণ যার প্রতি মুখাপেক্ষী। কিন্তু তাদের ধনাঢ্যতার প্রতি তার কোন প্রয়োজন নেই। তাদের ঠেকা থাকলেও তার কোন ঠেকা ছিল না। তা...
ওয়াকী’ ইবনুল র্জারাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১৯৭ হিজরী : ৮১২ খৃস্টাব্দ)
নিজেকে নিকষিত করেছেন। পরিশীলিত করেছেন। হয়েছেন পরিশুদ্ধ। হয়েছেন অসাধারণ গুণে বিশেষিত। স্থায়ী দুশ্চিন্তা দিয়ে যিনি হৃদয় আলো লাভ করেছেন। আনুগত্য সাধনায় যিনি হয়েছেন মার্জিত। দুনিয়া যাঁর নিকট কিছুক্ষণ থাকার জায়গা। এখানের সকল সম্পর্ক বিরহের নিগড়ে নিগড়িত। বেঁচেবর্তে ছিলেন। দিন এনে দিন খায় জীবন যাপন করতেন। মোটা খেতেন এবং স্থূল পরিধান করতেন। তিনি আবূ সুফইয়ান ওয়াকী’ ইবনু...
মা’রূফ আলকারখী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ২০০ হিজরী : ৮১৫ খৃস্টাব্দ)
শাহি হৃদয় নিয়ে জীবন যাপন করেছিলেন এবং নিঃস্ব শরীর নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। যাঁর দোআ ছিল আকাশের বন্ধন। দুনিয়া থেকে চলে গেলেন নিঃস্ব অবস্থায়। যেভাবে দুনিয়ায় আসলেন ঠিক তেমনিভাবে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন। পরিচ্ছন্ন মেধাবী হৃদয়জুড়ে খোদাভীতি টইটুম্বর ছিল। নিষ্ঠাবান ও সাচ্চা ঈমানদার। শীর্ষ যাহিদদের মধ্যে তিনি একজন। সময়ের তিনি বরকত। তিনি আবূ মাহফূয মা’...
ইমাম শাফেয়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ২০৪ হিজরী : ৮২০ খৃস্টাব্দ)
তিনি যদি বেশি বেশি হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুনতে পেতেন উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য অন্য কোন ফকীহ’র দরকার হতো না। মানুষের আকল-বুদ্ধি ওজন করা হলে শীর্ষে তিনি থাকবেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (স্বপ্নযোগে) যার মুখম-লে থুতু নিক্ষেপ করেছিলেন। এমন এক ব্যক্তি যিনি শারীরিক অবয়ব ও চারিত্রিক গুণাবলীতে পূর্ণতাকে ছুঁয়ে যাবার উপক্রম হয়েছিলেন। যাঁর প...
আবূ সুলাইমান দারানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ২১৫ হিজরী : ৮৩০ খৃস্টাব্দ)
ঘুমের মজার চেয়ে মুনাজাতের মজা যাঁর অধিক পছন্দনীয়। মাবুদের কাছে রোনাজারি যাঁর নিকট অগ্রাধিকারভাবে সমাদৃত। উদর জ্বালায় নিজেকে রেখে যিনি হৃদয়কে পরিচ্ছন্ন করেছিলেন। যুহদের সিঁড়িতে তাকওয়া ছিল যাঁর প্রথম ধাপ। দিবসের ক্ষুধা আর রজনীর বিনিদ্রা হাতিয়ার দিয়ে যিনি দুনিয়ার ধোঁকা দূরীভূত করেছিলেন। হৃদয় মরিচা আর আত্মমল ধুয়ে-মুছে সাফসুতরা করেছিলেন ক্ষুধার অস্ত্র ব্যবহার করে...
মানসূর ইবনে আম্মার রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ২২৫ হিজরী : ৮৪০ খৃস্টাব্দ)
যাঁর কথায় আকাশ অশ্রুপাত করেছে। জননীর দুগ্ধপানের সাথে যুহ্দ ও কোমলতা ছিল যাঁর অনুপান। নামায ও সিয়ামসাধনার জন্য যাঁর হায়াত ও জীবনকাল উৎসর্গিত। দেশ বিদেশ ঘুরে ওয়ায-নসিহত করতেন। তাকওয়া ও আনুগত্য বিষয়ে লোকজনকে অনুপ্রাণিত করতেন। নাফরমানি এবং দুনিয়ামুখিতার পরিণতিতে আল্লাহ তাআলার দূরত্ব সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করতেন। তিনি মানসূর ইবনে আম্মার, আবুস সারা। সালমী আলখুরাসানী। যাহিদ, দুনি...
বিশ্রুল হাফী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ২২৭ হিজরী : ৮৪১ খৃস্টাব্দ)
যাঁর যুহ্দ হৃদয়তন্ত্রীতে ঝঙ্কৃত হয়েছে। যাঁর মাঝে মানুষের প্রতি অমুখাপেক্ষিতা এবং কিয়ামুল লাইলের মর্যাদা যুগপৎ পাওয়া গিয়েছিল। তিনি একাধারে আত্মমর্যাদাবান এবং রাত জেগে ইবাদতগুজার মানুষ। দুনিয়াত্যাগে সিয়ামসাধনা করতে করতে মৃত্যুই ছিল যার ইফতার। দুনিয়াটা যার নিকট মাছির ডানার চেয়ে কম মূল্যমান ছিল। তাকওয়ার জাহাজে চড়ে যিনি আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলে...