পবিত্র জীবনী (৬ষ্ঠ পাতা)

ইব্রাহীম আন্নাখয়ী رحمة الله عليه (মৃ. ৯৬ হিজরী : ৭১৫ খৃস্টাব্দ)

ইব্রাহীম আন্নাখয়ী رحمة الله عليه (মৃ. ৯৬ হিজরী : ৭১৫ খৃস্টাব্দ)

নিজের থেকে শয়তানের ধোঁকা দূরীভূত করতে পেরেছিলেন। ফলশ্রুতিতে আল্লাহ তাআলা তাঁকে আনুগত্যের সম্মান দিয়েছিলেন। যাঁর হৃদয়ের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তাকওয়ার দৌলত প্রবহমান। নিজেকে বিনয়ী করে দ্বীনকে সমুন্নত করেছেন। খোদাপ্রেমিক। জীবনযুদ্ধে বিজয়ী এক ব্যক্তি। সাধনায় নিজেকে দগ্ধ করেছিলেন। তিনি ইব্রাহীম ইবনে ইয়াযিদ ইবনে কাইস ইবনুল আসওয়াদ আন্নাখয়ী, আবূ ইমরান। ইরাকের ইসলামী আইনজ্ঞ ও ফকীহ। ন...
আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুহাইরিয رحمة الله عليه (মৃ. ৯৯ হিজরী : ৭১৮ খৃস্টাব্দ)

আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুহাইরিয رحمة الله عليه (মৃ. ৯৯ হিজরী : ৭১৮ খৃস্টাব্দ)

যাঁর রাগে মহান আল্লাহ তাআলা অসন্তুষ্ট হন। যে জাতির মাঝে আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুহাইরিয এর মতো ব্যক্তি আছেন সে জাতি কখনও গোমরাহ হবে না। পথ হারাবে না মুসলিম উম্মাহ; কারণ তাঁদের মধ্যে আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুহাইরিয রহ. এর ন্যায় মহামনীষী রয়েছেন। যিনি দ্বীনের বিনিময়ে একটি লুকমাও গ্রহণ করেননি। আল্লাহ তাআলার পছন্দনীয় স্থানে দান করে যিনি দানশীল। জগতের প্রিয় স্থানে ক...
সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর رحمة الله عليه (মৃ. ১০৬ হিজরী : ৭২৫ খৃস্টাব্দ)

সালিম ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর رحمة الله عليه (মৃ. ১০৬ হিজরী : ৭২৫ খৃস্টাব্দ)

দাদার দাপট আর পিতার দুনিয়াবিমুখিতা উভয় বিশেষণে বিশেষিত ব্যক্তি। তিনি ইলম ও প্রজ্ঞায় মানুষের হৃদয়গ্রাহী ছিলেন। দুনিয়াবিমুখিতা, ইলম ও বিনয় দিয়ে যিনি দুনিয়া ভরে দিয়েছিলেন। ফুকাহা ও মুসলিম আইনজ্ঞদের অন্যতম বুযূর্গ, দুনিয়া বিরাগীদের ফকীহ, উলামা কেরামের মধ্যমণি, মদীনা শরীফের সপ্তম ফকীদের একজন, যাহিদ তাবেয়ীদের প্রধান ব্যক্তি, আলিম বিন আদিল। তিনি সালিম ইবনে...
তায়ূস ইবনে কাইসান رحمة الله عليه (মৃ. ১০৬ হিজরী : ৭২৫ খৃস্টাব্দ)

তায়ূস ইবনে কাইসান رحمة الله عليه (মৃ. ১০৬ হিজরী : ৭২৫ খৃস্টাব্দ)

কেউ দেখলে তাঁকে ভালোবাসবেই, অন্যের মজলিস তাঁর মজলিসই ভালো লাগবে। নিজের প্রয়োজন শুধু আল্লাহ তাআলাকেই জানাতেন। এমন কোন ফযীলত বা মর্যাদা নেই যা তার মাঝে ছিল না। ভালো গুণ ও বৈশিষ্ট্যের সমাহার তাঁর মধ্যে ঘটেছিল। পার্থিব খাহেশ থেকে নিজেকে দূরে রাখতেন। যিকির ও বিনয় দিয়ে দুনিয়া ভরে দিয়েছিলেন। তাকওয়ার সৌরভে নিজের আমালনামা ভরপুর ছিল। জীবন-অভিধানের প্রতিটি পৃষ্ঠা পর...
বকর ইবনে আব্দুল্লাহ্ আলমুযানী رحمة الله عليه (মৃ. ১০৮ হিজরী : ৭২৬ খৃস্টাব্দ)

বকর ইবনে আব্দুল্লাহ্ আলমুযানী رحمة الله عليه (মৃ. ১০৮ হিজরী : ৭২৬ খৃস্টাব্দ)

ইচ্ছে হলেই যিনি আল্লাহ তাআলার দরবারে প্রবেশ করতে পারতেন। জীবনভর ছিলেন ধনাঢ্য ব্যক্তির ন্যায়। দরিদ্রের বেশে যিনি ইহধাম ত্যাগ করেন। যতই অর্থ-সম্পদ বেড়েছিল ততই তিনি সেগুলো দান করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সহায়-সম্পদ দীন-দরিদ্র লোকদের জন্য আশ্রয় আর অভাবী লোকদের মরূদ্যান ছিল। শক্তিধর বক্তা, প্রামাণ্য ব্যক্তি, অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তিনি আবূ আব্দুল্লাহ্ বকর ই...
মুসলিম ইবনে ইয়াসার رحمة الله عليه (মৃ. ১০৮ হিজরী : ৭২৬ খৃস্টাব্দ)

মুসলিম ইবনে ইয়াসার رحمة الله عليه (মৃ. ১০৮ হিজরী : ৭২৬ খৃস্টাব্দ)

নিজের বজ্রকণ্ঠে যিনি আশার দোআর খোলেছিলেন। নামায পড়তে পড়তে যিনি চলে যেতেন যিকিরের ধ্যানে। জ্ঞানে ও গুণে যিনি উড়েছেন ওহীর কালে। নীরব-নিস্তব্ধ আবহে আল্লাহ তাআলার সান্নিধ্যে থাকতে যিনি খুব পছন্দ করতেন আর আনন্দ লাভ করতেন। আল্লাহ তাআলার ভালোবাসা এবং তাঁর জন্য ভালোবাসাই ছিল যাঁর আত্মার খোরাক ও পুষ্টি। তিনি মুসলিম ইবনে ইয়াসির। দাসত্ব থেকে মুক্তি লাভ করে যিনি পরিচিত হন উমাইয়্যা ব...
হাসান বসরী رحمة الله عليه (মৃ. ১১০ হিজরী : ৭২৮ খৃস্টাব্দ)

হাসান বসরী رحمة الله عليه (মৃ. ১১০ হিজরী : ৭২৮ খৃস্টাব্দ)

যাঁর কথা নবী-রাসূলদের কথার সাথে বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অপূর্ব মিল। নবী ﷺ-এর বংশধরের মাঝে যিনি বেড়ে ওঠেন। হযরত উমর রা. এর চিবানো খেজুর রস জীবনের প্রথম খাদ্য। যাঁর পাকস্থলীতে সর্বপ্রথম বরকতময় খাদ্যকণা প্রবেশ করে। উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালামা রা. যাঁকে দুগ্ধপান করিয়েছেন। হযরত আলী রা.-এর তত্ত্বাবধানে যিনি যৌবনে পদার্পণ করেন। যাঁর হৃদয় মন্দিরে যুহদ ও আখের...

         ৬    ১০ ১১ ১২ ১৩

error: you are not allowed to select/copy content. If you want you can share it