পবিত্র জীবনী (৭ম পাতা)
মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১১০ হিজরী : ৭২৮ খৃস্টাব্দ)
ফেরেশতাদের মাঝে হযরত জিব্রাঈল আ. যেমন ছিলেন যাহিদ ও দুনিয়াবিরাগীদের মাঝে তিনি এমন ছিলেন। অন্তর থেকে আত্মপ্রতারণা ও মোহ পরিত্যাগ করেছিলেন। কল্যাণ ও তাকওয়ার কোলে যিনি প্রতিপালিত। এমন ব্যক্তি যাঁর মুখ দিয়ে তাসবীহ-তাহলীল নিঃসৃত হতো। ইবাদত ও মাবুদের ধ্যানে যিনি নীরব থাকতেন। যিনি দুনিয়াকে আলোকিত করেছিলেন আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের মোহে পড়ে। তিনি মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন আলবসরী...
তালহা ইবনু মুসাররিফ রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১১২ হিজরী : ৭৩০ খৃস্টাব্দ)
ফেরেশতা দীক্ষিত ব্যক্তি। পরিমার্জিত একজন মানুষ। যাঁর হৃদয়রাজ্যে শুধু দুশ্চিন্তা। আখেরাতে নিজের অবস্থান দেখা ব্যতীত জীবনে কখনও রঙ্গরসিকতা ও হাসি-তামাশা না করা যাঁর প্রতিজ্ঞা। নিজের জবান দয়া ও কৃতজ্ঞতার নিগড়ে নিগড়িত ছিল। নীরবে ধ্যান করতেন। যাঁর দৃষ্টিতে ছিল শিক্ষা। কথায় থাকতো যিকির। হৃদয়ে দগ্ধ হতো শত বেদনা। তাকওয়া ও পরহেযগারি ছিল যাঁর ভূষণ। তিনি তালহা ইবনে মুসাররিফ ইবনে কা’...
আতা ইবনে আবী রাবাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১১৪ হিজরী : ৭৩২ খৃস্টাব্দ)
বংশগতভাবে তেমন নামকরা না হলেও গৌরব তাঁকে ছাড়েনি। মর্যাদাবেষ্টিত এক ব্যক্তিত্ব। যিনি কথায় লোকদেরকে কাঁদাতেন। তাঁর মত ও পরামর্শ গৃহীত হোক তিনি তা অপছন্দ করতেন। নিজেকে যিনি অমর লোকদের আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন। মহামনীষী মাঝে যাঁর অবস্থান সুদৃঢ়। তিনি আতা ইবনে আবী রাবাহ, আবূ মুহাম্মাদ আলকুরাশী। হারাম শরীফের ফকীহ ও প্রধান মুফতী। বিশিষ্ট ইসলামী আইনজ্ঞ। শাইখুল ইসল...
ওহাব ইবনে মুনাব্বিহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১১৪ হিজরী : ৭৩২ খৃস্টাব্দ)
যাঁর প্রজ্ঞা ও হিকমতের অসি খায়েশ ও প্রবৃত্তিকে ভোঁতা বানিয়ে দিয়েছে। মহামনীষীদের মাঝে যিনি একজন যাহিদ। যাঁর ছায়া দেখে শয়তানও ভীত। টানা চল্লিশ বছর ধরে যিনি ইশার উযূ দিয়ে ফজরের নামায আদায় করেছিলেন। নিজের খায়েশ ও মন-চাওয়া বিষয়গুলো পদদলিত করেছিলেন। যাঁর আওয়াজ হৃদয়ের চাবিকাঠি। তিনি ওহাব বিন মুনাব্বিহ ইবনে কামিল আস্সানআনী। যাদেরকে পারস্যের বাদশাহ ইয়েমেনে পাঠিয়েছিল...
আওন বিন আব্দুল্লাহ্ ইবনে উতবা রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১১৫ হিজরী : ৭৩৩ খৃস্টাব্দ)
দুনিয়ায় থাকতে যিনি আখেরাতের নিগড় থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পেরেছিলেন। ইখলাস ও নিষ্ঠার তরবারি দিয়ে যিনি মনের কুমন্ত্রণার শিকড় কেটে দিয়েছিলেন। জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ব্যতীত অন্য কোন কিছু বাধা ছিল না যাঁর। আখেরাতের অবশিষ্টাংশ ছিল যাঁর দুনিয়া। যে কেউ তাঁকে নামাযের দোআরে কড়াঘাত করতে দেখবে সে বিস্ময়ে বিমোহিত হবে এবং নিজেকে তুচ্ছ জ্ঞান করবে। তিনি আওন বিন আব্দুল্লাহ্ ইবনে উ...
ইয়াযিদ র্আরাকাশী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১২০ হিজরী : ৭৩৭ খৃস্টাব্দ)
চোখের পানি দিয়ে ধুয়েছিলেন হৃদয়ের লেলিহান আগুন। আল্লাহ তাআলার ভয়ে যিনি কেঁদে কেঁদে তাঁর ইবাদত করেছিলেন। যাঁর রোনাজারিই ছিল ইবাদতের মূল কথা। মাওলায়ে পাক আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের মাঝে খুঁজে পেয়েছিলেন স্বাধীনতার স্বাদ। হৃদয়ের পরিশুদ্ধতার জন্য জঠরজ্বালায় ভুগেছেন। তিনি ইয়াযিদ ইবনে আবান আররাকাশী। নেক ও মহৎ, বুযূর্গ ও দুনিয়াবিমুখ। রাতের শেষ প্রহরে যিনি কাঁদতেন অঝ...
বিলাল বিন সা’দ রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১২২ হিজরী : ৭৪০ খৃস্টাব্দ)
বসরাবাসীদের মাঝে হাসান বসরী রহ. যেমন ছিলেন সিরিয়াবাসীদের মধ্যে বিলাল বিন সা’দের অবস্থান তেমন ছিল। নবীর ভাষায় ও জবানে যিনি লোকদেরকে ওয়াজ-নসিহত করতেন। যাঁর কানে খোদাভীতির ডঙ্কা ঝঙ্কৃত হতে থাকতো। ইমামুর রাব্বানী (অর্থাৎ বুযূর্গ লোকদের ইমাম)। বুযূর্গ ও আল্লাহওয়ালা ব্যক্তি। ওয়ায়েয ও যাহিদ। লোকদেরকে নসীহত করতেন। দুনিয়ার প্রতি অনুরাগ পোষণ করতেন না। তিনি আবূ আমের বিলাল বিন সা’দ ইবনে...
মুহাম্মাদ বিন ওয়াসি’ রহমাতুল্লাহি আলাইহি (মৃ. ১২৩ হিজরী : ৭৪১ খৃস্টাব্দ)
রাহমানুর রাহীম আল্লাহ তাআলার অগণিত ক্বারীদের তিনি একজন ক্বারী। যাঁকে দেখে লোকজনের মনে প্রশান্তি জাগে। যিনি প্রতি দিন আখেরাতের সফরে বের হন। রণক্ষেত্রে যাঁর একটিমাত্র আঙ্গুল হাজারো তরবারি থেকে উত্তম। যুদ্ধের ময়দানে যিনি সাহসওয়ার ও অশ্বারোহী। রাতের বেলায় ইবাদতগুজার। মহান আল্লাহ তাআলার সাথে যাঁর সম্পর্ক সুদৃঢ়।তিনি ‘মুসতাজাবুদ্দাওয়াত’ তাঁর দোআ কবুল হয়। তি...