হজ্ব ও উমরাহ

হজ্বের মৌসুম: মৌলিক কিছু বিষয় ও দায়-দায়িত্ব

যেহেতু হজ্বের মৌসুম, দোআ করা দরকার আল্লাহ পাক যেন আমাদেরকে হজ্বে মাবরুর নসীব করেন। সব হাজীদের জন্য হজ্বকে সহজ করে কবুল করে নেন। সবার কুরবানি কবুল করেন। হজ্বের শিক্ষাকে আমাদের জীবনে বাস্তবায়নের তাওফীক দিয়ে দেন। আমীন।

যাদের উপর হজ্ব ফরয তাদের হজ্ব পালনে বিলম্ব করাটা দুর্ভাগ্যের কারণ। আমাদের আশেপাশের অনেক উম্মতের উপর হজ্ব ফরয। অত্যন্ত বিনয় ও বুদ্ধিমত্তার সাথে এ পয়গাম তাদের পৌঁছানো দরকার যে, হজ্ব ‘ফরয’ ইবাদত। মক্কায় যাওয়া-আসা ও (অবস্থানকালে) থাকার খরচ থাকলে – হজ্বে বিলম্ব করা মোটেই উচিত নয়। হজ্বের ফজিলত তথা দুনিয়া-আখেরাতের বিপুল লাভের কথা বলে ধনী ও সামর্থ্যবানদেরকে হজ্বে যাওয়ার অনুপ্রেরণা যোগানো উচিত। ভারসাম্যপূর্ণভাবে ভয়-ভীতি প্রদর্শনেও বিশেষ লাভ রয়েছে।

অনেক সময় অন্যের হজ্বে না যাওয়ার টাল-বাহানা ও ওযর-আপত্তি নিয়ে আমরা তার বিরুদ্ধে কটু কথা বলে ফেলি বা গীবত শেকায়ত করে বসি। এটা খুবই মন্দ কাজ। কেউ হজ্বে অহেতুক বিলম্ব করছে – এটা অবশ্যই অন্যায়। কিন্তু এ কারণে তার আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশি বা বন্ধু-বান্ধবদের গীবতে মেতে ওঠা কি ন্যায়সঙ্গত হয়ে যাবে? তা কখনই নয়। নিজের চিন্তা হ্রাস পেলেই মানুষ এমন অন্যায়ে লিপ্ত হয়। আমরা প্রত্যেকে এ ব্যাপারে সতর্ক হই। এমনটা হতে দেখলে সাধ্য অনুযায়ী বাঁধা দেই।

হজ্ব সুমহান ইবাদত। জীবনকে আল্লাহমুখী, আখেরাতমুখী করার সুবর্ণ সুযোগ ও অনন্য উপায়। ফরয হওয়ার অপেক্ষা কেন?! মুমিনের অন্তর তো এমনিতেই আল্লাহর ঘর দেখতে চায়, দেখতে চায় প্রিয় নবীজী ﷺ-এর পবিত্র স্মৃতিবিজড়িত জায়গাগুলো। অতএব হজ্বে যাওয়ার দোআ ও প্রস্তুতি এখনই শুরু করা উচিত নয় কি? আমাদের পক্ষে কঠিন, কিন্তু দাতা হলেন রব্বে কারীম! তাঁর জন্য সবই সহজ। দুনিয়ার প্রয়োজনে কত আয়োজন, কত সফর আর কষ্টকে বুকে পেতে নেই আমরা। আর আল্লাহ পাকের ঘরে উপস্থিত হতে এত চিন্তা আর হিসাব?!

যার জন্য আমি ত্যাগ স্বীকার করব, তার ভালোবাসা, দয়া-মায়া আমি পাব। এ কথাটি সবচেয়ে বেশি সুনিশ্চিত ও পূর্ণাঙ্গ হল আল্লাহ পাকের জন্য। তাঁর সম্পর্ক ও ভালোবাসার সাথে কি কোনো সৃষ্টির তুলনা।

Last Updated on August 4, 2025 @ 6:03 pm by IslamInLife বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *