হজ্বের মৌসুম: কী করতে পারি আমরা
হজ্বের মৌসুম। হাজীগণ দূর-দূরান্ত থেকে এখন লাব্বাইক ধ্বনিতে ছুটছেন। ছুটছেন বায়তুল্লাহর দিকে। সমগ্র পৃথিবীর মুমিনদের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। যাওয়ার ইচ্ছা ও আবেগ কারোর কম না। কিন্তু যার সৌভাগ্য হয় সেই যেতে পারে।
ফরয ও ওয়াজিব যদিও খুব বেশি নয়, কিন্তু নেক আমল অনেক। মুমিন হৃদয়ে সবগুলোই পালন করার আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু সেটা সম্ভব হয় না। আল্লাহ তাআলা নেক আমলের প্রতিদান মোটেই কম দিবেন না। কমতো প্রশ্নই আসে না। খুব বেশি দিবেন। কত বেশি যে দিবেন, সেটা আমাদের কল্পনা ও চিন্তায় ধরবে না। আল্লাহ তাআলা দেখেন আমাদের আন্তরিক চেষ্টাটুকু।
যারা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অন্বেষণ করেন তারা তাই সতর্ক। সময় ও জীবনকে খুব কাজে লাগানোর চেষ্টায় রত। তাদের কথা হল, ভাই একটি জীবন পেয়েছি, মাওলার খুশির জন্য বিলীন করতে দাও।
একে তো আজ আমরা অনেক ব্যস্ত, তার উপর রয়েছে গাফলত। আল্লাহ তাআলা নেক কাজে ব্যস্ততা বাড়িয়ে দিন ও গাফলতি দূর করে দিন। আমরা যদি একটু চেষ্টা করি, হাজারও ব্যস্ততার মধ্যে সামান্য প্রয়াসে আমাদের পার্থিব ও পরবর্তী জীবন সুন্দর করতে পারি।
যেমন: যখন নেক আমলের যে মৌসুম আসে, তখন তার দিকে একটু মনোযোগ দেয়া যেতে পারে। এটা অনেক বরকতের কারণ হয়ে থাকে। মৌসুম হওয়ার কারণে একে তো এই প্রচেষ্টা চালানো সহজ হয়, আবার ঐ নেক আমলের প্রতি আকর্ষণ তৈরিও করা যায় সহজে।
যেমন, এখন হজ্বের মৌসুম। কমপক্ষে আমরা প্রত্যেকে নিজের হজ্ব-উমরাহ কবুলের জন্য দু-আ করতে পারি। আর এবারের হাজীদের জন্যও বিশেষভাবে দোআ করা এবং সাধ্য মত তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করা উচিত।
হজ্ব-উমরা বিষয়ে কত বই আছে। হজ্ব-উমরাহর আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষে ঐ বইগুলো পড়লে অনেক উপকার হবে ইনশাআল্লাহ।
বিভিন্ন মসজিদে এই সময়ে হজ্ব ট্রেনিং/হজ্ব প্রোগ্রাম চলছে। আমি হয়ত এ বছর হজ্বে যেতে পারছি না, একদিন তো আমিও যাব ইনশাআল্লাহ। সে প্রস্তুতি হিসেবেই আজ আমি ঐসব প্রোগ্রামে একটু উপস্থিত হই, বসি। কী বলে শুনি। হাজীদের নেক পরিবেশ, দুআ ও চেষ্টার মধ্যে গিয়ে আমি কিছু সময় শামিল হই। এর টানে আমারও এই পরম সৌভাগ্য সহজে নসীব হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
এক কথায়, নিজেকে গাফেল না রাখা। এই পবিত্র মৌসুমে হজ্ব-উমরাহ-কুরবানির গুরুত্ব আরো বেশি গুরুত্ব সহকারে জানার চেষ্টাকে একটু চাঙ্গা করা – এটাই একটি মহৎ প্রচেষ্টা, যা কবুল হলে অনেক কিছু।
Last Updated on February 14, 2023 @ 10:50 am by IslamInLife বাংলা