
কুরআনের ঘটনা ও উপদেশের উপর চিন্তা-ফিকির করুন
তার উম্মত যখন লৌহিত সাগর পাড়ে এসে ঘাবড়ে গেল (কারণে পিছনে ফেরাউন ও তার সুসজ্জিত বাহিনী আর সামনে সমুদ্র!), নবী মূসা عَلَيْهِ ٱلسَّلَامُ তখন দৃঢ়তার সঙ্গে বলে উঠলেন:
كَلَّا إِنَّ مَعِيَ رَبِّي سَيَهْدِينِ
অর্থ: কখনোই নয়! আমার সাথে আমার রব আছেন; তিনি আমাকে পথ দেখাবেন। সূরা আশ্ শু’আরা ৬২
তারপরের ঘটনা সবার জানা। আল্লাহ তাআলা সমুদ্রের মাঝে রাস্তা করে মূসা عَلَيْهِ ٱلسَّلَامُ ও তার অনুগত উম্মতকে বাঁচিয়েছেন। অবাধ্য ফিরাউন ও তার বাহিনীকে সমুদ্রে ডুবিয়ে-চুবিয়ে মেরেছেন।
আজও যদি কোনো মুমিন, যে কিনা আল্লাহ তাআলার ফরমাবরদার, বিপদে পড়ে, সেটা যেমন ধরণেই হোক। হয়ত তার বিরুদ্ধে কোনো শত্রু লেগেছে বা অন্য কোনো সমস্যায় সে পতিত হয়েছে, এটা সে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে আল্লাহ তাআলা তা দেখছেন ও সে ব্যাপারে পরিপূর্ণরূপেই অবগত আছেন। যদি একজন মুমিন আল্লাহ তাআলার পথে থাকে ও তাঁর কাছে নিজের প্রয়োজন বা সমস্যার কথা বলে সাহায্য চায়, ইনশাআল্লাহ তার জন্যও পথ তিনিই খুলবেন। একজন মুমিনের পূর্ণ ভরসাস্থল কেবল আল্লাহ তাআলা। কুরআনে বিধৃত হয়েছে মূসা عَلَيْهِ ٱلسَّلَامُ কথা, কিন্তু কেয়ামত পর্যন্ত সব নেক বান্দারা এই একই কথা বলবে এবং আল্লাহ তাআলার ওয়াদাও তাদের পক্ষে পূরণ হতে থাকবে।
(এমন আরো ঘটনা ও বিষয়াদির সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে কুরআনে)
পবিত্র কুরআন আল্লাহ তাআলার কালাম! আল্লাহ তাআলা তাঁর পবিত্র কালামে বুদ্ধিমানদের জন্য তাদাব্বুর (চিন্তা-ফিকির)-এর বিস্ময়কর উপকরণ রেখেছেন। তাই আমাদের সবসময় সাধ্য অনুযায়ী কুরআন তেলাওয়াতের পাশাপাশি কুরআন মাজীদের তরজমা ও তাফসীর পড়া উচিত। আরো উচিত সাধ্য অনুযায়ী কুরআনের তরজমা ও তাফসীরের ওপর চিন্তা-ফিকির করা*।
______________________________
* সর্বসাধারণের কর্তব্য এই যে, কোন তরজমা-তফসীর পড়ব, কিভাবে পড়ব প্রভৃতি মৌলিক বিষয় বিজ্ঞ আলেমদের থেকে জেনে নেওয়া। কোনো আয়াত/তরজমা পড়ে যেকোনো খটকা লাগলে নিজের মন মতন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। অবশ্যই তা নোট করে নিতে হবে, বিজ্ঞ আলেমদের থেকে জেনে নিতে হবে।
Last Updated on July 25, 2022 @ 11:12 am by IslamInLife বাংলা