পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, (অর্থ): “তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে চাঁদ সম্পর্কে, আপনি বলে দিন তা মানুষের এবং হজের জন্য নির্ধারিত সময় (সময় নির্ণায়ক)। সূরা বাক্বারা – ২:১৮৯
উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় শায়খ মুহাম্মদ তাহের লিখেন, “…চাঁদ এবং চাঁদের সার্থকতা কী? (জনাব) সাংসারিক, সামাজিক এবং আল্লাহ তাআলার ইবাদত বন্দেগী সংক্রান্ত কাজকর্ম এবং বহু অনুষ্ঠান চাঁদের পরিবর্তনের উপর নির্ভর করে। যাবতীয় কাজকর্ম, ব্যবসা-বাণিজ্য, লেনদেন, ধার-কর্জ, বেতন-মাহিনা, বাড়িভাড়া, গর্ভকাল, স্তন্যদান ও স্তন্য-পানকাল, রোযা-যাকাত প্রভৃতি ইহলৌকিক-পারলৌকিক জীবনযাত্রা সংক্রান্ত বহু গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেরই চাঁদের অবস্থা পরিবর্তনের সাথে নিগূঢ় সম্পর্ক রয়েছে।” (আল-কুরআন ও তার তাফসীর ১/১০৮)
বিশেষত মুসলমানদের ধর্মীয় হিসাব নিকাশের যত ক্ষেত্র রয়েছে (রোযা, দুই ঈদ, হজ, যাকাত, ইদ্দত ইত্যাদি) সেগুলোতে চাঁদের হিসাবে দিন, তারিখ, মাস ও বছর হিসাব করা অত্যাবশকীয়। এ জন্য হিজরীর চন্দ্র তারিখের হেফাজত ও চর্চা রাখা ফরযে কেফায়া, আর এক্ষেত্রে শিথিলতা প্রদর্শন করা দ্বীন হেফাজতের প্রেরণা ও মুসলিম জাতির আত্মমর্যাদাবোধ হ্রাস বা বিলুপ্তিকরণের নামান্তর।






