Dark Mode Light Mode

নিজ কাজে আত্মনিয়োগ ও নিবিষ্টতা: পরিশুদ্ধির অন্যতম পথ – ২

সব চিন্তার অবসান দুনিয়াতে হবে না। তাই অহেতুক চিন্তা যেন আমাদের ঈমান ও নেক কাজের ক্ষতিসাধন করতে না পারে তার থেকে আমরা আল্লাহ তাআলার আশ্রয় চাই।

গুনাহের কারণে অন্তরে দুশ্চিন্তা সৃষ্টি হয়। তাই তওবা ও ইস্তেগফার করতে হবে, গুনাহ থেকে বিরত থাকার চেষ্টাও করে যেতে হবে।

আমাদের চিন্তা-ভাবনায় অনেক অদ্ভুত ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় এসে গেছে। এজন্য আমাদের মনে শান্তি নেই। যেমন, আমরা পার্থিব কোনো বস্তু বা অবস্থাকে অর্জনের লক্ষ্যকে স্থির করেছি। সেই বস্তু বা অবস্থা আমাকে অর্জন করতেই হবে(!) অথচ সেটা হয়ত আমার তকদীরেই  নেই। সেটা আমি কখনো পাব না। আর তাতেই মঙ্গল রয়েছে। কিন্তু দেখা যায়, আমরা সেই লক্ষ্য বা বস্তু অর্জনে মরিয়া হয়ে যাই। এটা প্রকৃত মুমিনের বৈশিষ্ট্য নয়।

এভাবে আমাদের চিন্তা ভাবনায় অনেক ‘আগাছা’ জন্ম নিয়েছে – যেগুলো কেটে দূর করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় চিন্তা ত্যাগ করতে হবে। আমাদের সাধ্যের মধ্যে যা আছে তা করব, সেটার জন্য সহজ-সরলভাবে চেষ্টাও করব। অসাধ্য সাধনে চেষ্টা ও শ্রম ব্যয় করা উচিত নয়।

তারপর আরো একটি সমস্যা হল, আমাদের চিন্তা-ভাবনা অনেক সময় ‘অন্য মানুষ কেন্দ্রিক’ বেশি হয়ে যায়। এতে প্রচুর সময় নষ্ট হয়, অনধিকার চর্চা হয়, নিজের কাজ ব্যাহত হয় এবং সর্বোপরি নিজের সংশোধন ব্যাহত হয়।

মুসলমান হল সহজ-সরল। তার চিন্তা-কথা-কাজ সমান্তরালে চলবে। সে আল্লাহ পাকের পথে নিজ অবস্থাকে সঁপে দেবে। তাই সে পার্থিব অবস্থায় অনেক বেশি প্রভাবিত হবে না, প্রয়োজন পরিমাণ প্রভাবিত হবে। কিন্তু আল্লাহ পাকের হুকুম মানার ব্যাপারে সে চিন্তাগ্রস্ত থাকবে ও সেই অনুযায়ী কাজ করতে থাকবে। এতে তার কাজে সফলতা আসবে, আর অন্তরে বিরাজ করবে শান্তি।

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post

মুহাসাবা: নিজের হিসাব-নিকাশ

Next Post

চিন্তাগত ও কর্মগত ভ্রষ্টতা থেকে উত্তরণ জরুরি