Dark Mode Light Mode

আশুরা: শিক্ষা ও তাৎপর্য-১

আশুরা শব্দটির অর্থ দশম। ইসলামী পরিভাষায় হিজরী বর্ষের প্রথম মাস মুহাররমের দশ তারিখকে আশুরা বলা হয়। আশুরার তাৎপর্য কী, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ উক্ত দিনটিকে কিভাবে মূল্যায়ন করেছেন এবং ঐ দিনে আমাদের কী করণীয় – এসব সম্পর্কে হাদীস শরীফে আমাদের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।

বুখারীতে আছে, “জাহেলিয়াতের যুগে কুরাইশগণ আশুরার সাওম পালন করত এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ ও এই সাওম পালন করতেন। নবীজী ﷺ মদীনায় আগমন করে দেখতে পেলেন যে ইয়াহুদীরা আশুরার দিনে সাওম পালন করে থাকে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কী ব্যাপার? (তোমরা এই দিনে রোযা রাখ কেন?) তারা বলল, এ অতি উত্তম দিন, এ দিনে আল্লাহ তাআলা বনী ইসরাঈলকে তাদের শত্রু (ফেরাউন)-এর কবল থেকে নাজাত দান করেন। তাই মূসা عليهم السلام এই দিনে রোযা রাখতেন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আমি তোমাদের চেয়ে মূসার অধিক নিকটবর্তী। এরপর থেকে তিনি এই দিনে সাওম পালন করেন এবং সাওমের নির্দেশ দেন। বুখারী : ১৮৭৬ ও ১৮৭৮

অবশ্য নফল হলেও হাদীসের ভাষ্যমতে রমযানের রোযার পর আল্লাহ তাআলার কাছে সর্বাপেক্ষা মর্যাদাসম্পন্ন রোযা হচ্ছে আশুরার রোযা। আম্মাজান আয়েশা رضي الله عنها বলেন (অর্থ), আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ কে আশুরার দিনের সাওমের উপরে অন্য কোনো দিনের সাওমকে প্রাধান্য দিতে দেখিনি। বুখারী: ১৮৮০

সুনানে ইবনে মাজার একটি বর্ণনায় আছে যে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন (অর্থ), আশুরার দিনের সাওম পালন দ্বারা আমি আল্লাহর নিকট বিগত বছরের গুনাহ সমূহ ক্ষমার আশা রাখি। ইবনে মাজা: ১৭৩৮

তবে যেন এই ইবাদতটি ইয়াহুদীদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ না হয়ে যায় তাই দশই মুহাররমের সাথে আগে বা পরের একদিন মিলিয়ে মোট দুই দিন রোযা রাখা উচিত। ফাতোয়ায়ে মাহমুদিয়া খন্ড: ৩

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন (অর্থ), আমি যদি আগামী বছর বেঁচে থাকি, তাহলে অবশ্যই নবম তারিখে সাওম পালন করব। (১৭৩৬)

অতএব, ১০ই মুহাররাম বা আশুরার শিক্ষা হল:
১. নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা
২. শুকরিয়া স্বরূপ প্রিয় নবীজী ﷺ এর অনুসরণ পূর্বক ১০ই মুহাররমে রোযা রাখা
৩. কোনো কিছুতে যেন বিজাতীদের অনুকরণ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা
৪. ইয়াহুদীদের অনুসরণ যেন না হয় সেজন্য দশই মুহাররমের সাথে আগে বা পরের দিনেও রোযা রাখা

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post
আশুরা: শিক্ষা ও তাৎপর্য-২

আশুরা: শিক্ষা ও তাৎপর্য-২

Next Post

মৃত্যুকে আমরা কেন ভয় পাই