Dark Mode Light Mode
জীবনে সময়ের বরকত পেতে হলে করণীয়: ৮
সাম্প্রতিক বিশ্বে মুসলিম উম্মাহ’র অবস্থা ও খবরাখবর প্রসঙ্গে
জীবনে সময়ের বরকত পেতে হলে করণীয়: ৯

সাম্প্রতিক বিশ্বে মুসলিম উম্মাহ’র অবস্থা ও খবরাখবর প্রসঙ্গে

আমরা​ তো আল্লাহ তাআলার বান্দা ও প্রিয় নবীজী ﷺ-এর উম্মত। ​

সবসময়​​ প্রিয় নবীজী ﷺ-এর উম্মতের জন্য​ (যার মধ্যে অবশ্যই নিজে অন্তর্ভুক্ত, তাই নিজের জন্য) দোআ করে থাকি এবং সবসময় করব ইনশাআল্লাহ।

আমাদের একটি স্বাভাবিক অবস্থা হল নানান খবর আমাদের প্রভাবিত করে। যেটা পুরোপুরি মন্দ – তা বলা হচ্ছে না। কিন্তু মানুষের প্রচারিত খবরাখবর থেকেও আল্লাহ তাআলার নাযিলকৃত কুরআনে দেয়া​ উপদেশ, নির্দেশনা ও খবর এবং আমাদের রাসূল ​​ ﷺ-এর বাতলানো পথনির্দেশ​ অবশ্যই বেশি গুরুত্বপূর্ণ; এ কথাটি যেন আমরা ভুলে না যাই।

আমাদের​ প্রত্যেকের উচিত,​ দ্বীনি তালীম (শিক্ষা) ও তরবিয়ত (সংশোধন) গ্রহণে ও প্রচারে সজাগ হয়ে যাওয়া। উম্মতের জন্য আন্তরিকভাবে দোআ ও খেদমতে আরও নিয়োজিত হওয়া।

প্রত্যেক জাতি নিজ নিজ তালীম ও তরবিয়তে সজাগ। মুসলিম জাতি যখন বৃহত্তরভাবে নিজ তালীম ও তরবিয়তে সজাগ ছিল তাদের কারণে​ সারা​ জগতে রহমত বর্ষিত হয়েছে। আজ আমরা আল্লাহ ও রাসূল​ ​ﷺ -এর পথ থেকে​ বিমুখ হয়েছি; ক্ষতি সবার আগে আমাদেরই হয়েছে!

যা​ জানা বেশি জরুরি ছিল, তা জানিনি। যা বোঝা বেশি জরুরি ছিল, তা বুঝিনি। যা পড়া বেশি জরুরি ছিল, তা পড়িনি।​ নিজের সন্তানকেও সেই সুশিক্ষা ও দীক্ষায় গড়ে তুলিনি যেটা আল্লাহ ও রাসূল ​ﷺ -এর সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিল ও রয়েছে। এটা না করে কত বড় জুলুম যে নিজের উপর করেছি – তার কোনো হিসাবও নিজের কাছে নেই। এ আমরাই কিন্তু মুসলমানদের ওপর অত্যাচার ও অনাচারে অনেক বিস্মিত ও আবেগাপ্লুত। যেটা অবশ্যই ঈমানের দাবি। কিন্তু সাথে সাথে এ থেকে উত্তরণের পথ কী, ব্যক্তি হিসেবে আমার করণীয় কী, আমার ওপর পূর্ব থেকেই কী দায়-দায়িত্ব ছিল ও আছে – সেটা থেকে অনেকটা বেখবর। ইসলামকে জানিই নি, ইতিহাসও পড়িনি। কিন্তু দেশ-বিদেশের সব/আংশিক খবর আমার কাছে, তাও কেবল যতটুকু মিডিয়াতে আসছে।

প্রিয় মুসলিম ভাই-বোনেরা,

আসুন খাঁটিভাবে তওবা করি।​​ আসুন​ নিজের ও​ সবার কল্যাণকামী হই। আমাদের প্রিয় রাসূল ﷺ-এর উত্তম আদর্শকে আঁকড়ে ধরি​ সবাই​। দেখবেন এর সুপ্রভাব অতি অবশ্যই পড়বে।​ প্রথমে সেটা পড়বে আমার পরিবারে, তারপর পাড়ায়, এভাবে সমাজে, শহরে/গ্রামে ও দেশে এবং সারা পৃথিবীতে ইনশাআল্লাহ। কারণ, আল্লাহ তাআলার সাহায্য ও বিজয় আসার প্রতিশ্রুত পথ এটাই।

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post

জীবনে সময়ের বরকত পেতে হলে করণীয়: ৮

Next Post

জীবনে সময়ের বরকত পেতে হলে করণীয়: ৯