Dark Mode Light Mode
আশুরা: শিক্ষা ও তাৎপর্য-২ আশুরা: শিক্ষা ও তাৎপর্য-২

আশুরা: শিক্ষা ও তাৎপর্য-২

আশুরার দিনটি মুসলমানদের কাছে আরো বহু কারণে স্মরণীয় ও বৈশিষ্ট্যমন্ডিত হয়ে আছে। ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী এ দিনটি। কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনাটিও নবীজী ﷺ -এর ওফাতের ৫০ বছর পর ৬১ হিজরীতে এ দিনেই ঘটেছিল। এ দিনে নবীজী ﷺ -এর দৌহিত্র সাইয়্যেদুনা হুসাইন رضي الله عنه এর শাহাদাত বরণ আমাদেরকে এই শিক্ষাই দেয় যে, কখনো কোনো অবস্থাতেই অন্যায়ের সাথে আপোষ করা যাবে না। তবে মনে রাখতে হবে যে, আশুরার কারবালাপূর্ব গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্যই ইসলামী জীবনাচারের অংশ। আর এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, হুসাইন رضي الله عنه এর শাহাদাতকে কেন্দ্র করে তাজিয়া, শোক-র‍্যালি, শোক-গাঁথা পাঠ, ঢোল বাজানো, বুক চাপড়ানো, হায় হোসেন হায় হোসেন বলা – এগুলো সবই নবী কারীম ﷺ, হুসাইন رضي الله عنه ও আহলে বাইতের আদর্শের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

নবীজী ﷺ বলেন (অর্থ): তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই যারা মুখ চাপড়ায়, কাপড় ছিঁড়ে এবং জাহেলী যুগের কথাবার্তা বলে। সহীহ মুসলিম: ১২৯৭, সহীহ বুখারী ১০৩

একজন মুমিন হিসেবে একটু চিন্তা করুন। সাহাবী হুসাইন رضي الله عنه এর ন্যায় কত শত সাহাবী رضي الله عنهم শাহাদাত বরণ করেছেন। কত করুণভাবে প্রিয় নবীজী ﷺ এর চাচা হামযা رضي الله عنه কে শহীদ করা হয়েছে। খুলাফায়ে রাশেদের মধ্যে উমর ইবনে খাত্তাব رضي الله عنه, উসমান গণী رضي الله عنه এবং আলী ইবনে আবু তালেব رضي الله عنه -কে নির্মমভাবে শাহাদাত করা হয়েছে। কত সাহাবা رضي الله عنهم এর শাহাদাত স্বীয় রাসূলে কারীম ﷺ-এর হায়াতেই হয়েছে। সেই সব ক্ষেত্রে নবীজী ﷺ-এর নির্দেশনা কী ছিল? কোনো সন্দেহ ছাড়া মেনে নিতে হয় যে, মাতম করা, দিবস পালন বা বিশেষ শোক পালন – কোনোটিই ছিলনা। যদি থাকত এবং যদি তাতে কোনো সামান্য লাভ হত, স্বয়ং নবীজী ﷺ এবং তার সাহাবা رضي الله عنهم পরবর্তীতে তাবেঈন ও তাবে তাবেঈন রহমাতুল্লাহিআলাইহুম সবাই তা সযত্নে পালন করতেন; দ্বীন আমাদের চেয়ে বহুগুণ বেশি জানতেন, বুঝতেন এবং তদনুযায়ী আমলও করতেন।

আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বিজাতীয় অনুসরণ এবং মন মত চলা থেকে রক্ষা করুন। পবিত্র সুন্নাহ অনুযায়ী আমলের তাওফীক দিন। আমীন। ইনশাআল্লাহ চলবে…

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post

যিলহজ্ব মাস: গুরুত্ব, ফযীলত ও করণীয়

Next Post

আশুরা: শিক্ষা ও তাৎপর্য-১