দ্বীন তথা ইসলামের ব্যাপারে উম্মতের অনেকের মাঝে আজ এই চিন্তা উদ্রেক হয়েছে (এমনকি তা দুশ্চিন্তার আকার পর্যন্ত ধারণ করেছে), হায়! আজ এত পথ ও এত মত; সঠিক ইসলাম কোথায় পাব?! সুতরাং (এরকম ভাইদের মধ্যে) কারো কারো অবস্থাতো এমন যে, তারা দ্বীনের উপর চলবে বা চলতে পারবে – এ থেকেই সম্পূর্ণ নিরাশ হয়ে গেছে। কিছু মানুষ আছে কোনোরকম (অর্থাৎ. নিয়মনীতি অগ্রাহ্য করে দায়সারা ভাবে) নামায-রোযা-হজ্ব পালন করে যাচ্ছে এতটুকুই – এতেই তারা পরিতৃপ্ত হয়ে বসেছে। কেউ বা নিজের “যখন-যা-যতটুকু” বুঝে আসছে সেটাই করছে। কেউ কেউ আবার কোনো একটি পথ বা মত (হোক একা বা সম্মিলিতভাবে) অবলম্বন করে নিজেকে নিজেই সঠিক দাবি করে অন্যদের দোষারোপ করছে। আর কিছু মানুষ এখনও গবেষণায় রত, ভাবছে কী করা যায়, কোন দিকে যাওয়া যায় – তারা এখনও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে রয়েছে।
সর্বপ্রথম যে বিষয়টি অবশ্যই আমাদের স্বীকার করতে হবে তা হল কুরআন-সু্ন্নাহর পথ এখনও বিদ্যমান। আমাদের সে পথ অনুসন্ধানে যেন কোনো গাফলতি না হয়। তারপর গুরুত্বপূর্ণ হল, সত্যকে জানার ও মানার জন্য আমরা যেন সঠিকভাবে অগ্রসর হওয়া উচিত।
এই প্রযুক্তি ও মিডিয়ার ব্যাপকতার যুগেও, উম্মত যখন সত্য-মিথ্যা নির্ণয়ে বাহ্যত বিপুল চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, তখনও কিন্তু ঐ একটি পথই প্রত্যেক সত্যান্বেষী উম্মতের জন্য যথেষ্ট হবে ইনশাআল্লাহ; আর তা হল নিজের মন-মস্তিষ্ক-বুদ্ধি সব বিলীন করে আল্লাহ তাআলার দিকে রুজু হয়ে আন্তরিকভাবে দোআ করা। সঠিক পথ কোনটি তা নির্ণয়ে আল্লাহ তাআলার সরাসরি সাহায্য চাওয়া।
কোনটি সে মুক্তির পথ, কোনটি সেই সহজ-সরল পথ তা নির্ণয়ে দোআকে উপেক্ষা করে, অনেকে প্রারম্ভেই বুদ্ধিবৃত্তিক গবেষণায় লিপ্ত হয় এবং তাড়াহুড়া করে ফেলে। ফলে নফস ও শয়তান ধোঁকায় ফেলে দেয় ও সত্য থেকে বিচ্যুত করার বৃহত্তর প্রয়াস পায়।
ফেতনা যেহেতু ব্যাপক ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে (অর্থাৎ, বর্তমান সময়ে), বান্দার উচিত নিজ থেকে বুদ্ধি খাটানো বন্ধ করে দোআর মধ্যে আরও অধিক মশগুল হয়ে যাওয়া ও পথের মালিকের কাছেই সঠিক পথের সন্ধান চাওয়া।
এটির অবশ্যম্ভাবী ফল এই হবে যে, অন্তরে হক পথ তথা সঠিক রাস্তার সাক্ষ্য মিলবে ইনশাআল্লাহ। যত মত ও পথ এবং ভিন্নতা পরিলক্ষিত হোক, আর যত অসুবিধা ও বাঁধা বাহ্যত দৃষ্টিগোচর হোক না কেন, সীরাতে মুস্তাক্বীমের পরিচয় স্বয়ং আল্লাহ তাআলা সামনে এনে দেবেন ইনশাআল্লাহ।
ইনশাআল্লাহ চলবে…..