Dark Mode Light Mode

জীবনে সময়ের বরকত পেতে হলে করণীয়: ১০

সুস্বাস্থ্য ও অবসরকে যথাসময়ে ও যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। এ দুই নেয়ামত সম্পর্কে হাদীসের সুস্পষ্ট ভাষ্য হল, অধিকাংশ মানুষ এ ব্যাপারে গাফেল ও ক্ষতিগ্রস্ত।

যখন অসুস্থ হই তখন যে ওজর থাকে সুস্থ অবস্থায় যদি সে ওজর দেই, এ কি যৌক্তিক?! আবার যখন কিছুটাও অবসর পাওয়া যায় তখনও যদি সে অবসরকে উপযুক্ত কাজে লাগে না যায় তাও কি গ্রহণযোগ্য?

বুদ্ধিমান ব্যক্তি স্বাস্থ্য ও অবসরকে নষ্ট করে না। পক্ষান্তরে উদাসীন ব্যক্তি এ দুইয়ের কদর করে না।

আল্লাহ তাআলা কিন্তু আমাদেরকে ছোট-খাট অসুস্থতা দেন বড় অসুস্থতার সতর্কতা স্বরূপ। মাঝেমধ্যে ব্যস্ততা দেন যেন আরও ব্যস্ত হওয়ার আগেই সাবধান হয়ে যাই। তারপরও যদি আমরা সাবধান না হই, আফসোস ছাড়া আর কী করার আছে?!

মুমিন তো আখেরাতের সফলতার অন্বেষী। তার পুঁজি সংগ্রহ, হিসাব-নিকাশ — সবই হল আখেরাতকে উদ্দেশ্য করে। তাই কোনো অবস্থায় সে গাফেল হতে পারে না। শক্তি-সামর্থ্য থাকতে সে নফস (নিজ) থেকে কাজ আদায় করে নেয়। ব্যস্ততা বৃদ্ধির আগেই সে নিজেকে নেক কাজে অভ্যস্ত করে তোলে। এর পরিণতি এই হয় যে, অন্যান্যরা যে অসুস্থতা আর ব্যস্ততায় কাবু হয়, সে ততটুকুতেও (যদি সেরকম প্রতিকূলতা চলেই আসে) নেক কাজের চিন্তা ও প্রচেষ্টায় উদ্যমী ও সচেষ্ট থাকে। এভাবে আল্লাহ পাকের ফযলে, হায়াতের পুরোটাই তার জন্য কল্যাণকর হয়।

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post

জীবনে সময়ের বরকত পেতে হলে করণীয়: ৯

Next Post

শবে বরাত: করণীয় ও বর্জনীয় – ১