Dark Mode Light Mode

ইলম অর্জনের আকাঙ্ক্ষা ও সাধনা

ইমাম মুহাম্মাদ رحمة الله عليه দরস দিচ্ছিলেন।

কিছু মাইল দূরে একটি ঘনবসতি ছিল। ওখান থেকে লোকেরা তার কাছে এসে আরজ করল: হযরত আপনি আমাদের ওখানেও দরস দিন যেন আমরা ফায়দা নিতে পারি।

তিনি বললেন, আমার সময় খুব অল্প।

তারা বলল, হযরত আমরা একটি বাহনের ব্যবস্থা করব। আপনি সেটার উপর আরোহণ করে আমাদের বসতিতে আসবেন। দরস দিয়ে তাড়াতাড়ি চলে যাবেন। এইভাবে আপনার পায়ে হেটে আসা-যাওয়ার সময়টুকু দরসে লেগে যাবে।

ইমাম মুহাম্মাদ رحمة الله عليه তাদের কথায় রাজি হয়ে গেলেন। ঐ এলাকাতেও দরস শুরু করলেন।

ইমাম শাফেঈ رحمة الله عليه ইমাম মুহাম্মাদ رحمة الله عليه -এর খেদমতে হাজির হলেন।

তিনি অনুরোধ করলেন, হযরত! আপনার কাছে আমি এ কিতাব পড়তে চাই।

ইমাম মুহাম্মাদ رحمة الله عليه বললেন, ভাই! কখন আমি তোমাকে সময় দিব? আমার এখানেও দরস দিতে হয়। তারপর ঐ এলাকাতেও সফর করে গিয়ে দরস দিতে হয়।

ইমাম শাফেঈ رحمة الله عليه বললেন, আপনি যখন এখানের দরস শেষ করে ঐ বসতিতে যাবেন তখন বাহনে বসে বসেই আমাকে দরস দিবেন। আমি বাহনের সাথে চলতে থাকব এবং আপনার কাছ থেকে ইলমও শিখতে থাকব।

প্রিয় পাঠক! ঘটনাটির ওপর একটু চিন্তা করুন।

ইতিহাসে ইলম তলব করার এমন উদাহরণ কোন জাতি দেখাতে পারবে?! যখন মুসলমান এমনভাবে দ্বীনি ইলম অর্জনের চেষ্টায় ছিল, ঐ দিনগুলো কতই না সুন্দর ছিল!

ইলম অর্জনে আমাদের চেষ্টা-মেহনত কতটুকু? প্রত্যেকের ভেবে দেখা উচিত। আমাদের প্রত্যেকের উচিত সাধ্য অনুযায়ী ইলম অর্জনে কিছু সময় বের করা। নতুবা হাশরের মাঠে ঐসব উন্নত মানুষগুলো যখন তাদের এত এত নেক প্রচেষ্টা নিয়ে আল্লাহ তাআলার সামনে দাঁড়াবে আমাদের কী অবস্থা হবে?!

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post

পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম মহিলা কে?

Next Post

সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজের নিষেধকারী