সাপ্তাহিক হাদীস আর্কাইভ
আবু হুরাইরাহ رضي الله عنه বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন (অর্থ): বান্দা সেজদার সময় তার প্রতিপালকের সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়। তাই সেজদা অবস্থায় তোমরা দুআ বৃদ্ধি করো। মুসলিম
ইয়া'লা رضي الله عنه থেকে বর্ণিত [অর্থ] আমি উম্মে সালামা رضي الله عنه কে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবীজি ﷺ কিভাবে কুরআন পড়তেন। তিনি বলেন যে, তাঁর পড়া পরিষ্কার ও স্পষ্ট হত, প্রত্যেক হরফ আলাদা আলাদা শোনা যেত। তিরমিযী
লোকেরা যদি জালেমকে জুলুম করতে দেখে এবং ওকে প্রতিহত করতে চেষ্টা না করে, তাহলে তারা যেন আল্লাহ'র পক্ষ থেকে সর্বগ্রাসী আযাবের জন্য অপেক্ষা করে। আবু দাউদ
জারীর ইবনে আবদুল্লাহ রা. বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেন [অর্থ]: যে ব্যক্তি মানুষকে দয়া করে না, আল্লাহও তাকে দয়া করেন না। বুখারী ও মুসলিম
উম্মুল মু’মিনীন আশেয়া رضي الله عنها থেকে বর্ণিত [অর্থ]: যে ব্যক্তি এক বিঘৎ পরিমাণ জমিতে জুলুম করল (অর্থাৎ জোরপূর্বক ১ বিঘৎ পরিমাণ জমি দখল করল, কেয়ামতের দিন আল্লাহ) তার গলায় সাত তবক জমিন পরিয়ে দেবেন। বুখারী ও মুসলিম
আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেছেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন [অর্থ]: যে ব্যক্তি সকাল বা সন্ধ্যা মসজিদে যায় আল্লাহ তার জন্যে জান্নাতে সকাল বা সন্ধ্যায় মেহমানদারীর ব্যবস্থা করেন। বুখারী ও মুসলিম
ইবনে মাসঊদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলতেন [অর্থ]: হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে হেদায়েত, তাকওয়া, পবিত্রতা ও অমুখাপেক্ষিতা প্রার্থনা করছি। মুসলিম
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন [অর্থ]: বাজে কাজ ও কথা পরিহার করা মানুষের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত। তিরমিযী
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন [অর্থ]: আল্লাহ তাআলা (বান্দার ব্যাপারে) আত্মমর্যাদা অনুভব করেন। আর মানুষের জন্য আল্লাহ যা হারাম করেছেন যখন সে তাতে লিপ্ত হয় তখনই আল্লাহ’র আত্নমর্যাদাবোধ জেগে ওঠে। বুখারী ও মুসলিম
আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন [অর্থ]: তোমরা এমন সব কাজ করে থাক যেগুলো তোমাদের দৃষ্টিতে চুল থেকেও বেশী হালকা-পাতলা। কিন্তু আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺএর যুগে সেগুলোকে ধ্বংসকর ও মহা ক্ষতিকর হিসেবে গণ্য করতাম। বুখারী
আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ -কে বলতে শুনেছি, মহান আল্লাহ বলেছেন [অর্থ]: আমি যখন আমার বান্দাকে তার দু’টি প্রিয় বস্তুর মাধ্যমে পরীক্ষা করি (তার দু’টি চোখের দৃষ্টি শক্তি নষ্ট করে দেই) আর সে তাতে সবর করে, তখন আমি তাকে তার বদলে জান্নাত দান করি। বুখারী
বদরী সাহাবী সাহল ইবনে হুনাইফা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন [অর্থ]: যে ব্যক্তি আল্লাহ’র নিকট সত্যিই শাহাদাতের মৃত্যু চায়, সে তার বিছানায় মৃত্যুবরণ করলেও আল্লাহ তাকে শহীদগণের মর্যাদায় পোছিয়ে দেন। মুসলিম
আগার ইবনে ইয়াসার মুযান্নী রা. বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন [অর্থ]: হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহ’র কাছে তওবা কর এবং (গুনাহর জন্যে) তাঁর কাছে ক্ষমা চাও। আমি প্রত্যেহ একশো বার তওবা করি। মুসলিম
আবূ ইয়াহইয়া সুহায়েব ইবনে সিনান রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন [অর্থ]: মু’মিনের ব্যাপারটা আশ্চর্যজনক। তার সমস্ত কাজই কল্যাণকর। মু’মিন ছাড়া অন্যের ব্যাপারে এরূপ নয়। তার জন্য আনন্দের কোন কিছু হলে সে আল্লাহ’র শোকর করে, তাতে তার মঙ্গল হয়। আবার ক্ষতিকর কোন কিছু হলে সে ধৈর্যধারণ করে। এটাও তার জন্য কল্যাণকর হয়। মুসলিম
সাহল ইবনে সা’দ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন [অর্থ]: যতদিন মানুষ বিলম্ব না করে ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে। মুসলিম
আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন [অর্থ]: পাঁচ ওয়াক্তের নামায, এক জুমআ থেকে আরেক জুমআ এবং এক রমযান থেকে আরেক রমযানের মধ্যবর্তী দিনগুলোর ছোটখাট গুনাহের কাফ্ফারায় পরিণত হয়, যদি বড় বড় গুনাহসমূহ থেকে বিরত থাকা হয়। মুসলিম
আনাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন [অর্থ]: তোমাদের কারো কোনো বিপদ বা কষ্ট হলে সে যেন মৃত্যুর কামনা না করে। যদি কেউ এরূপ করতেই চায়, তবে যেন বলে: হে আল্লাহ! তুমি আমাকে জীবিত রাখ যতক্ষণ পর্যন্ত জীবিত থাকা আমার জন্য কল্যাণকর। আর যখন আমার জন্য মৃত্যু কল্যাণকর তখন আমাকে মৃত্যু দাও। বুখারী ও মুসলিম
আবু বাকরাহ নুফাই’ ইবনে হারিস সাকাফী রা. বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন [অর্থ]: যখন দু’জন মুসলমান তরবারী কোষমুক্ত করে পরস্পর লড়াইয়ে লিপ্ত হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয়েই জাহান্নামের যোগ্য হয়ে যায়। আমি নিবেদন করলাম; হে আল্লাহ’র রাসূল! হত্যাকারী জাহান্নামের হকদার হওয়াটা তো বুঝলাম; কিন্তু নিহত ব্যক্তির জাহান্নামী হওয়ার কারণটা কী? রাসূলে আকরাম ﷺ বললেন [অর্থ]: কারণটা হল এই যে, সেও তো তার প্রতিপক্ষকে হত্যা করতে চেয়েছিল। বুখারী ও মুসলিম
জাবের রা. বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেন [অর্থ]: কেয়ামতের দিন প্রতিটি বান্দাকে সেই অবস্থায়ই পুনর্জীবিত করা হবে, যে অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করেছে। মুসলিম
বদরী সাহাবী সাহল ইবনে হুনাইফা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন [অর্থ]: যে ব্যক্তি আল্লাহ’র নিকট সত্যিই শাহাদাতের মৃত্যু চায়, সে তার বিছানায় মৃত্যুবরণ করলেও আল্লাহ তাকে শহীদগণের মর্যাদায় পোছিয়ে দেন। মুসলিম
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন [অর্থ]: যে ব্যক্তি অন্যকে ধরে আছাড় দেয় সে শক্তিশালী নয়, বরং শক্তিশালী সেই ব্যক্তি যে রাগের সময় নিজেকে সংযত রাখে। বুখারী ও মুসলিম
আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত রাসূলে কারীম ﷺ বলেন [অর্থ]: ঐ ব্যক্তি সফল যে ইসলাম গ্রহণ করেছে, যথেষ্ট পরিমাণ রিযিক প্রাপ্ত হয়েছে এবং আল্লাহ পাক যা দান করেছেন তারই উপর সে তুষ্ট আছে। [মুসলিম]
তরবারীর আঘাত মানুষের শরীর আহত করে, কিন্তু কটু কথা দ্বারা মানুষের অন্তর রক্তাক্ত হয়। উসমান رضي الله عنه
আবু সাঈদ ও আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন [অর্থ]: মুসলিম বান্দার যে কোন ক্লান্তি, রোগ, দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা, কষ্ট ও অস্থিরতা হোক না কেন, এমন কি কোন কাঁটা ফুটলেও তার কারণে মহান আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে দেন । বুখারী ও মুসলিম
আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, আমি রাসূলে আকরাম ﷺ কে বলতে শুনেছি [অর্থ]: আল্লাহ্’র কসম! আমি একদিনে সত্তর বারের চেয়েও বেশি তওবা করি এবং আল্লাহ’র কাছে ক্ষমা চাই। বুখারী
ইবনে মাসঊদ রা. বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন [অর্থ]: মুমিন কাউকে বিদ্রূপ করেনা, কাউকে অভিশাপ দেয়না, সে অশ্লীলভাষী হয়না এবং বেহুদা কথাবার্তাও বলেনা। তিরমিযী
আনাস রা. বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেন [অর্থ]: যে ব্যক্তি নিজের জীবিকা প্রশস্ত হওয়া এবং নিজের হায়াত (আয়ুষ্কাল) বৃদ্ধি হওয়া পছন্দ করে, সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে। বুখারী ও মুসলিম
আয়েশা রা. বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন [অর্থ]: মৃত ব্যক্তির নিন্দাবাদ কর না; কেননা, তারা (ভাল-মন্দ) যা কিছু আমল করেছে তা তারা (ইতিমধ্যেই) পেয়ে গেছে। বুখারী
আবু সাফওয়ান আবদুল্লাহ ইবনে বুস্র আসলামী রা. বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন [অর্থ]: (লোকদের মধ্যে) সেই ব্যক্তি উত্তম যার বয়স দীর্ঘ এবং কাজও সুন্দর। তিরমিযী
আবু যার ও মু’আয ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন [অর্থ]: তুমি যেখানেই থাক, আল্লাহকে ভয় কর এবং অসৎ কাজ করলে তারপর সৎ কাজ কর। তাহলে সেটা মন্দ কাজকে শেষ করে দেবে। আর মানুষের সাথে সদ্ব্যবহার কর। তিরমিযী
আবু মূসা রা. বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন [অর্থ]: মহান আল্লাহ দিনের পাপীদের ক্ষমা করার জন্য রাতের বেলা তাঁর (ক্ষমার) হাত প্রসারিত করে রাখেন এবং রাতের পাপীদের ক্ষমা করার জন্যে দিনের বেলা তাঁর হাত প্রসারিত করেন। পশ্চিম আকাশে সূর্যের উদয় হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এরূপই করতে থাকবেন। মুসলিম
আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন [অর্থ]: যে ব্যক্তি ধন বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে লোকদের কাছে ভিক্ষা চেয়ে বেড়ায়, সে মূলত জ্বলন্ত অঙ্গারই ভিক্ষা করে, তা সে অল্পই করুক কিংবা বেশিই করুক। মুসলিম
আনাস রা. বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন [অর্থ]: যে (পুরুষ) ব্যক্তি দুনিয়ায় রেশমের পোশাক পরিধান করলো, সে আখেরাতে তা পরিধান করতে পারবে না। বুখারী ও মুসলিম
ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন [অর্থ]: দু’টি নেয়ামত (আল্লাহর দান) যার ব্যাপারে বহু লোক ক্ষতিগ্রস্থ তা হচ্ছে: স্বাস্থ্য ও অবসর সময়। বুখারী
জাবির رضي الله عنه বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন [অর্থ]: মহান আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! (তুমি সম্পদ) ব্যয় কর; (তাহলে) তোমার জন্যও ব্যয় করা হবে। বুখারী ও মুসলিম
আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলতেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন [অর্থ]: রমযান আসলে আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয় আর শৃংখলিত করে দেয় হয় শয়তানগুলোকে। বুখারী
জারীর ইবনে আবদুল্লাহ রা. বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেন [অর্থ]: যে ব্যক্তি মানুষকে দয়া করে না, আল্লাহও তাকে দয়া করেন না। বুখারী ও মুসলিম
আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেছেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন [অর্থ]: যে ব্যক্তি সকাল বা সন্ধ্যা মসজিদে যায় আল্লাহ তার জন্যে জান্নাতে সকাল বা সন্ধ্যায় মেহমানদারীর ব্যবস্থা করেন। বুখারী ও মুসলিম
আবু হুরাইরা রা. বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন যে [অর্থ]: আল্লাহ্ তা’আলা তোমাদের চেহারা ও দেহের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না; বরং তোমাদের অন্তর ও কর্মের প্রতি লক্ষ্য আরোপ করেন। মুসলিম
ইবনে মাসঊদ রা. বর্ণনা করেন, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেন [অর্থ]: জান্নাত তোমাদের প্রত্যেকের জন্যে তার জুতার ফিতার চেয়েও নিকটে, আর দোযখের অবস্থানও তাই। বুখারী
জাবির رضي الله عنه থেকে বর্ণিত, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেছেন [অর্থ]: প্রতিটি ভাল কাজই সাদকা । বুখারী
আবু হুরায়রা রা.–এর বর্ণনা মতে, রাসূলে আকরাম ﷺ বলেন [অর্থ]: যে বান্দা অন্য বান্দার দোষ-ত্রুটি এ দুনিয়ায় গোপন রাখবে আল্লাহ কেয়ামতের দিন তার দোষ-ত্রুটি গোপর রাখবেন। মুসলিম
রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে এই তাগিদ করেছেন যেন জুমুআর দিন তাঁর (ﷺ) উপর আমরা বেশী বেশী দরূদ শরীফ পড়ি। (আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ
অর্থ: যদি আল্লাহ তাআ’লার নজরে এই দুনিয়ার মূল্য মশার পাখা বরাবর থাকত, তবে তিনি কোন কাফিরকে এক ফোঁটা পানি পর্যন্ত পান করতে দিতেন না। (তিরমিযী: ২৩২০)
مَنْ نَامَ عَنْ حِزْبِهِ، أَوْ عَنْ شَيْءٍ مِنْهُ، فَقَرَأَهُ فِيمَا بَيْنَ صَلَاةِ الْفَجْرِ، وَصَلَاةِ الظُّهْرِ، كُتِبَ لَهُ كَأَنَّمَا قَرَأَهُ مِنَ اللَّيْلِ
যে তার নির্ধারিত আমল বা তার কিছু অংশ আদায় না করে ঘুমিয়ে পড়ে, এরপর ফজর-যোহরের মাঝে তা পড়ে নেয় তার সম্পর্কে লেখা হবে যেন সে রাতেই তা পড়েছে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭৪৭; জামে তিরমিযী, হাদীস ৫৮১
হযরত আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন (অর্থ): যে কিনা তিনটি গুণ অর্জন করবে, সে ঈমানের মিষ্টতা অনুভব করতে পারবে: যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ কে সবকিছুর চেয়ে বেশি ভালবাসবে; কোন ব্যক্তিকে ভালবাসলে সে শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই ভালবাসে; কুফুর পরিত্যাগের পর সেই দিকে প্রত্যাবর্তন তার কাছে আগুনে ভেতর প্রবেশের সমান। [বুখারী ও মুসলিম]
ইবনে আবিদ্দুনিয়া রেওয়ায়ত করেছেন, মা আয়েশা রা. এর কাছে ভুমিকম্পের কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেছিলেন (অর্থ): মানুষ যখন জায়েয কাজের মত যেনা (অবৈধ যৌন কাজ) করে ও মদ খায় এবং প্রকাশ্যে গানবাজনা করে, আল্লাহ তাআলা অত্যন্ত অসুন্তষ্ট হয়ে যমীনকে কাঁপতে আদেশ করেন, যেন মানুষ পাপ কাজ ত্যাগ করে আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন করে।
যে তার নির্ধারিত আমল বা তার কিছু অংশ আদায় না করে ঘুমিয়ে পড়ে, এরপর ফজর-যোহরের মাঝে তা পড়ে নেয় তার সম্পর্কে লেখা হবে যেন সে রাতেই তা পড়েছে। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭৪৭; জামে তিরমিযী, হাদীস ৫৮১
শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী হযরত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রার্থনা–
اللهم اجعل في قلبي نورا وفي بصري نورا …
ইয়া আল্লাহ! আমার অন্তরে আলো দিন। আমার চোখে আলো দিন।
আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ ইরশাদ করেন (অর্থ): সেই পবিত্র সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তোমাদের কেউ প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতা ও সন্তানের চেয়ে বেশী প্রিয় হই । [বুখারী]
উমর ইবনে খাত্তাব রা. বর্ণনা করেন (অর্থ), আমি রাসূলে আকরাম ﷺ -কে বলতে শুনেছি যে, সব কাজের প্রতিফল কেবল নিয়্যতের ওপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক ব্যক্তিই নিয়্যত অনুসারে তার কাজের প্রতিফল পাবে। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের (সন্তুষ্টির) জন্য হিজরত করেছে, তার হিজরত আল্লাহ্ ও রাসূলের সন্তুষ্টির জন্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে গণ্য করা হবে। পক্ষান্তরে যার হিজরত দুনিয়া অর্জন করা কিংবা কোন নারীকে বিবাহ করার উদ্দেশ্যে সম্পন্ন হবে, তার হিজরত সে লক্ষ্যেই নিবেদিত হবে । রিয়াদুস-সালেহীন।
আবু মূসা আবদুল্লাহ ইবনে কায়েস আশ’আরী রা. রাসূলে আকরাম ﷺ থেকে বর্ণনা করেন(অর্থ) : আল্লাহ তা’আলা পশ্চিম দিক থেকে সূর্যোদয় না হওয়া পর্যন্ত (কেয়ামত পর্যন্ত) প্রতি রাতে তাঁর ক্ষমার হাত প্রসারিত করতে থাকবেন, যাতে করে দিনের গুনাহগার তওবা করে। আর তিনি দিনে তাঁর ক্ষমার হাত প্রসারিত করতে থাকবেন, যাতে করে রাতের গুনাহগার তওবা করে। মুসলিম, রিয়াদুসসালেহীন(১ম খন্ড)
যায়েদ বিন আসলাম রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন(অর্থ): সওয়ার ব্যক্তি পথচারীকে সালাম দেবে। আর যখন দলের এক ব্যক্তি সালাম করে, তা সবার পক্ষ থেকে যথেষ্ট হবে। মুয়াত্তা (দ্বিতীয় খন্ড)
যায়েদ ইবনে আসলাম রা. থেকে বর্ণিত যে কোন ব্যক্তি দুআ করে, সে তিনটির একটি অবশ্যই পাবে; হয় তার দুআ কবুল হবে, অথবা প্রার্থিত বস্তু তার জন্য সঞ্চিত রাখা হবে (অর্থাৎ, বিলম্বে হলেও তা দেয়া হবে), অথবা এ দুআ তার গুনাহের কাফফারা হবে। মুয়াত্তা
মু’আয ইবনে আনাস রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন [অর্থ]: যে ব্যক্তি নিজের ক্রোধ প্রদর্শনের ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও তা দমিয়ে রাখে তাকে আল্লাহ কিয়ামতের দিন সব মানুষের ওপর মর্যাদা দিয়ে ডাকবেন। এমনকি তাকে তার ইচ্ছামত বড় বড় চোখ বিশিষ্ট হুর [জান্নাতের রমণী] মধ্য থেকে বেছে নেয়ার স্বাধীনতা দিবেন। আবূ দাউদ ও তিরমিযী
আবু যার রা. ও মু’আয ইবনে জাবাল রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন [অর্থ]: তুমি যেখানেই থাক, আল্লাহকে ভয় কর এবং অসৎ কাজ করলে তারপর সৎকাজ কর। তাহলে সেটা মন্দ কাজকে শেষ করে দেবে । আর মানুষের সাথে সদ্ব্যবহার কর । তিরমিযী
জাবির ইবনে আবদুল্লাহ বর্ণনা করেন, তিনি রাসূলে আকরাম ﷺ-কে তাঁর ইন্তেকালের মাত্র তিন দিন আগে বলতে শুনেছেন [অর্থ]: তোমাদের কেউ যেন মহিমাময় আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ না করে মৃত্যুবরণ না করে। মুসলিম
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন [অর্থ]: মুমিন নর-নারীর জান, মাল ও সন্তানের উপর বিপদ-আপদ আসে। অবশেষে আল্লাহর সাথে সে সাক্ষাত করে এমন অবস্থায় যে, তার আর কোন গুনাহ অবশিষ্ট থাকে না। তিরমিযী
বদরী সাহাবী সাহল ইবনে হুনাইফা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন [অর্থ]: যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট সত্যিই শাহাদাতের মৃত্যু চায়, সে তার বিছানায় মৃত্যুবরণ করলেও আল্লাহ তাকে শহীদগণের মর্যাদায় পৌছিয়ে দেন। মুসলিম
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন [অর্থ]: আল্লাহ তাআলা বলেন [অর্থ]: যখন আমি দুনিয়া থেকে তার প্রিয়জনকে নিয়ে যাই আর এ সময় সে সবর করে, তখন আমার মুমিন বান্দার জন্য আমার কাছে জান্নাত ছাড়া আর কোন পুরস্কার নেই। বুখারী
অর্থ: তুমি আল্লাহ্ তায়ালার ইবাদত করবে এমনভাবে যেন তুমি তাকে দেখছ; আর এটা সম্ভব না হলে অন্ততপক্ষে এই ভাবনার সাথে ইবাদত করবে যে, তিনি তো তোমাকে অবশ্যই দেখছেন। বুখারী: ঈমান অধ্যায়, হাদীস নং: ৪৮; মুসলিম: ঈমান অধ্যায়, হাদীস নং: ৯