Dark Mode Light Mode

সম্পদ ও সম্মান: বাস্তবতার উপলব্ধি আবশ্যক – ১

সম্পদের মোহ ও সম্মান লাভের মোহ দুটি ভয়াবহ জিনিস।

অথচ সম্পদ ও সম্মান আল্লাহর পক্ষ থেকে হলে তাতে কোনো সমস্যা নেই। আমরা নাজায়েয পন্থা প্রয়োগ করে যে নাজায়েয সম্পদ ও সম্মান পাব সেটা নিষিদ্ধ হবে। এতে শান্তি ও নিরাপত্তাও নেই। বরং এতে রয়েছে পার্থিব ও পরকালীন জীবনে লাঞ্ছনা ও অশান্তি।

কুরআন-সুন্নাহর পথ অবলম্বন করলে অভাবে আর বিপদে পড়তে হয় মনে করে আমরা মিথ্যার আশ্রয় নিতে যাই। শয়তান ও তার দোসররা সবসময় ঐ পথে আমাদেরকে আহ্বান করে থাকে। ঈমানের দুর্বলতা থাকলে আমাদের মন ওদিকেই ধাবিত হয়। আমরা মোহে ও লালসায় পড়ে অসৎ পথ অবলম্বন করি।

মোহ ও লালসা পূরণের পথ কেবল বাহ্যিকভাবেই মজাদার। তার আড়ালে দুঃখ-কষ্ট। কুরআন-সুন্নাহর পথ বাহ্যিকভাবেই বেশি কষ্টের। এর আড়ালে সুখ-শান্তি।

সম্পদ ও সম্মানের মোহ সম্পর্কে আমাদের সঠিক জ্ঞান নেই। এ সম্পর্কে আমাদের চিন্তাগত কয়েকটি মৌলিক ত্রুটি রয়েছে। যেমন, আমরা মনে করে থাকি যে, সম্পদ হলেই সম্মান পাওয়া যায়। এটা কি সবসময় ঠিক? যেটা কখনো ঠিক ও কখনো বেঠিক তা কিভাবে সত্যের চূড়ান্ত মাপকাঠি হবে? সব সম্পদশালিরাই কি বাস্তবিকই সম্মানিত (সম্মানের পাত্র)? আরও গভীর পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আমি যে সম্পদশালীকে দেখছি যিনি বাহ্যত সম্মানের অধিকারী, সেটা কি আসলেই অর্থকড়ির জন্য অথবা সেটা কি প্রকৃতই সম্মান? ‘চোখের ক্ষুধা’ বলে একটি কথা আছে, যা আসলে ক্ষুধা নয় – একটি প্রবঞ্চনা। ঠিক তেমনি, দৃষ্টি অনেক কিছু ভুল দেখে, অন্তর অনেক কিছু ভুল ভাবায়। আমি যেটা দেখছি বা ভাবছি সম্মান, সেটা আসলেই কি সম্মান?!

চলবে ইনশাআল্লাহ…….

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post

কী রেখে যাচ্ছি বিদায়ের আগে – ৩

Next Post

পার্থিব চাওয়া-পাওয়া এবং প্রশান্তি