Dark Mode Light Mode

জীবনে সময়ের বরকত পেতে হলে করণীয়: ৯

নিয়মিত সালাফে সালেহীন, অর্থাৎ পূর্ববর্তী নেককারগণের জীবনী অথবা উপদেশ পাঠ।

কত বই, ম্যাগাজিন আর পত্রিকা জীবনে পড়া হয়। কত গল্প, উপন্যাসও পড়া হয়। আজকাল তো অবস্থা এমন যে মানুষ ‘ফিকশন’ বা অবাস্তব ও কাল্পনিক বিষয়াদিও পড়ে; আর শুধু পড়ে না! পড়ে মুগ্ধ হয়। তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। লেখকের প্রশংসায় মুখরিত হয় আমাদের আলোচনা।

একজন মুমিন তার জীবনকে আখেরাতের সাপেক্ষে চিন্তা করে। উন্নতি বলুন আর অবনতি, সে চিন্তা করে কী প্রস্তুত করলাম নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমাদের পূর্বসূরী নেককার মানুষগুলোর জীবনী পড়লে বিস্মিত হতে হয়, হতে হয় হতবাক। তারা দিন-রাত সময়কে এত সুচারুভাবে কাজে লাগিয়েছে যা আমাদেরকে অবাক করে। কিন্তু এগুলো শুধু অবাক আর হতবাক হবার জন্য নয়। এগুলো থেকে অনুপ্রাণিত হতে হবে, শিক্ষা নিতে হবে। আমাদেরকেও ‘সময়’ তথা হায়াত নামক এত দামী জিনিসকে কাজে লাগাতে হবে। তাদের জীবন, তাদের জীবনের টুকরো টুকরো ঘটনা, তাদের উপদেশ পড়ে নিজের ভেতর একটি ইতিবাচক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তারা দিনে একশ/এক হাজার রাকআত নফল নামাজ পড়তেন। আচ্ছা, আমি দশ রাকআত পারব না?! এভাবে, শুধু ইবাদত নয়, তাদের আখলাক, আদব-চরিত্র, তাদের লেনদেন ও সামাজিক আচরণ — সবকিছু শিক্ষণীয়। সেগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

যদি বলা হয় যে, এ কাজটি (সালাফদের জীবনী/উপদেশ পাঠ) আমাদের জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তনে ‘জাদুর মতন ক্রিয়া করবে’ — একটুও বাড়িয়ে বলা হবে না ইনশাআল্লাহ।

প্রতিদিন ৫ মিনিটই ব্যয় করুন, দেখবেন কত উপকারী।

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post

সাম্প্রতিক বিশ্বে মুসলিম উম্মাহ'র অবস্থা ও খবরাখবর প্রসঙ্গে

Next Post

জীবনে সময়ের বরকত পেতে হলে করণীয়: ১০