Dark Mode Light Mode

রমযানের প্রথম রাত ও দিন

আমরা যখন রমযানের প্রথম রাত ও দিন অতিবাহিত করি, তখন আমাদের উচিত সুমহান আল্লাহর চিরন্তন নেয়ামতের ওপর গভীরভাবে চিন্তা করা ও অনেক বেশি শোকর আদায় করা (অর্থাৎ আল্লাহ পাকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা)।

অসংখ্য নেয়ামতের পাশাপাশি, আলহামদুলিল্লাহ তিনি আমাদেরকে আরো একটি বার পবিত্র রমযান দান করেছেন।

আমাদের উচিত একজন মু’মিন (জীবনের শেষ পর্যন্ত নেক কাজে নিবেদিত ঈমানদার) হিসেবে জীবনযাপন করার দৃঢ় প্রত্যয় (নিয়ত) করা, আন্তরিকভাবে তাওবা (আল্লাহর আনুগত্যের দিকে ফিরে এসে) করে নতুন উদ্যোমে ভালো কাজ (নেক আমল) শুরু করা।

হাদীস

সাইয়্যেদুনা আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যখন রমযানের প্রথম রাত আসে, তখন শয়তান আর বিদ্রোহী জিন্নাতদেরকে শৃঙ্খলিত করা হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় — কোনো দরজা খোলা থাকে না। জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয় — কোনো দরজা বন্ধ থাকে না এবং একজন আহবানকারী ঘোষণা করে: ‘হে তাকওয়া ও কল্যাণের সন্ধানকারী, অগ্রসর হও। হে অশুভ অন্বেষণকারী, (তোমার মন্দ থেকে) বিরত হও।’ এবং আল্লাহ তাআলা জাহান্নামের আগুন থেকে অনেক মানুষকে মুক্তি দেন এবং এটি রমযান মাস জুড়ে প্রতি রাতে চলতে থাকে। তিরমিযী, ইবনে মাজাহ

সতর্কতা

– এ মাসটির ইজ্জত ও সম্মানকে সর্বাত্মকভাবে রক্ষা করুন! এটি কুরআন নাযিলের মাস।
– ভাল কাজ অর্থাৎ নেক আমল বৃদ্ধি করুন। ফরজ ও ওয়াজিব আমলের পাশাপাশি, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত বৃদ্ধি করুন, নফল ইবাদত – বিশেষত, মানুষের প্রতি আরও সদয় হোন এবং উদারভাবে সাদাকা করুন।
– তাকওয়া অর্জনের জন্য সর্বোত্তম চেষ্টা করুন। সকল প্রকার পাপ থেকে বিরত থাকুন এবং সারা বছর এই অভ্যাস গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে এ মাসে সচেষ্ট হয়ে যান। মনে রাখবেন, আমরা যখন প্রচেষ্টা শুরু করি তখন আল্লাহর সাহায্য আমাদের পক্ষে আসে!

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post

গুনাহের ক্ষতি ও শাস্তি: যে বিষয়গুলি আমাদের জানা জরুরি

Next Post

রমযান চিরকাল জাহান্নাম থেকে বাঁচার উপায়