আখলাক ও আত্মশুদ্ধি

মুহাসাবা: নিজের হিসাব-নিকাশ

মুহাসাবা করা বা নিজের আমল (অর্থাৎ, কাজের) হিসাব-নিকাশ করা একজন মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রতিদিন হোক বা সাপ্তাহিক, নিয়মিত হোক অথবা অনিয়মিত – মৌলিক কাজগুলোর ‘মুহাসাবা’ সবারই করা উচিত। এতে আত্মিক উন্নতি হয়, কাজ সংশোধিত হয় এবং আল্লাহর পথে অগ্রসর হওয়া সহজ হয়।

প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে অতিবাহিত দিনটির ‘মুহাসাবা’ (নিজ আমলের হিসাব-নিকাশ) করা যেতে পারে। যদি মুহাসাবা ঠিক মতন অথবা নিয়মিত না হয়, ‘বেঠিক’ মতন বা অনিয়মিতই করে যান। ইনশাআল্লাহ ধীরে ধীরে ঠিক হবে, নিয়মিত হবে। আমলটি জারি থাকলে এর ইতিবাচক প্রভাব জীবনে পড়বে ইনশাআল্লাহ।

মুহাসাবা করবেন কীভাবে? শোয়ার সময় বসে অথবা শুয়ে অল্প সময় যিকির ও দোআ-দরূদ পড়ুন। এর ফলে মন আল্লাহ পাকের অভিমুখী হবে, অন্তর ও চিন্তা-জগৎ পরিচ্ছন্ন হবে। এবার আপনার ওপর আল্লাহ পাকের অনুগ্রহগুলো স্মরণ করুন। সাথে সাথে শোকর করুন। আলহামদুলিল্লাহ, অর্থাৎ সব প্রশংসা আল্লাহ তাআলার। যেমন (এভাবে চিন্তা করুন), আজকের দিনটিই আমার জন্য একটি বড় অনুগ্রহ ছিল। যেভাবে এ দিনটি কাজে লাগানোর প্রয়োজন ছিল, পারিনি। সেজন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হোন। তারপর মনের যত চাওয়া-পাওয়া সবই আল্লাহকে খুলে বলুন। তাঁর কাছে মাফও চান, সাহায্যও চান।

এইতো। মাত্র তিন থেকে পাঁচ মিনিটে ‘মুহাসাবা’ করা যায়। আল্লাহ আমাদের কবুল কর। আমীন।

এছাড়া নির্দিষ্ট কিছু বিষয় সামনে রেখে মুহাসাবা করা যায়। এতেও আমলটি সহজ হয়। আজ তিনটি বিষয়ে মুহাসাবার কথা বলা হচ্ছে। একটু সময় বের করে একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমরা চিন্তা করি যে,

★আমি কুরআন তেলাওয়াত শিখছি এবং/ দৈনিক কুরআনে পাঠে সময় দিচ্ছি। করছি তো?

★আমি দৈনিক দ্বীনি বই পড়ার জন্য একটি সময় নির্ধারণ করেছি। সে সময়টিতে আমি সাধ্যমতন দ্বীনি বই পড়ি। পড়ছি তো?

★আমার আখলাক যেন নেক হয় সেজন্য আমি চেষ্টা করছি। যেমন: বড়দের শ্রদ্ধা করা ও মেনে চলা এবং ছোটদের স্নেহ করা। করছি কিনা?

সংশোধনের তীব্র ইচ্ছাশক্তি থাকলে চেষ্টা সহজ হবে। তখনই আল্লাহ তাআলা সাহায্য করবেন

Last Updated on November 21, 2023 @ 8:02 am by IslamInLife

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: you are not allowed to select/copy content. If you want you can share it