Dark Mode Light Mode

মুসলমানের পারিবারিক জীবন – ‌৬

একজন মুসলমানের জন্য শ্রেষ্ঠ আদর্শ আল্লাহ তাআলার প্রিয় রাসূল ﷺ।

আমাদের প্রিয় নবীজী ﷺ মানবজীবনের প্রতিটি দিকের আচার-আচরণ দেখিয়ে গেছেন। পরিবারের মাঝে অত্যন্ত সহজ-সরল, পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করেও কিভাবে প্রভাব বিস্তার করা যায়, উম্মতকে তা দেখিয়েছেন। স্নেহ-মমতার চূড়ায় অবস্থান করে দ্বীনের জন্য কোনোদিন আপোষ করে করেননি। এতেই যে পার্থিব ও পরকালীন সমূহ কল্যাণ সেটি বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি ﷺ। কোমলতা শিখতে হলে তার ﷺ-এর পবিত্র সীরাত আমাদের সামনে। ভারসাম্যপূর্ণ কঠোরতা দেখতে হলেও তার ﷺ -এর পবিত্র সীরাত আমাদের সামনে। স্থান, কাল, পাত্রে অপূর্ব-অনুপম ব্যবহার। তার কোনো তুলনা হয় না! অথচ কেয়ামত পর্যন্ত মানুষের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় আমাদের প্রিয় নবীজী ﷺ। কেউ বলতে পারবে না যে এই সময়ে এমন আচরণ সম্ভব নয়।

স্বামী হিসেবে স্ত্রীর সাথে রাসূলে কারীম ﷺ-এর আচরণ, পিতা হিসেবে সন্তানের সাথে রাসূলে কারীম ﷺ-এর আচরণ, নানা হিসেবে আচরণ, খাদেম বা কাজের মানুষের সাথে আচরণ – সবক্ষেত্রে সুন্দরতম আচরণের শিক্ষা!  এই সবই আসলে কেন সম্ভব হয়েছে? এক কথায়, আল্লাহ তাআলার বিধান মানায় চুল পরিমাণ এদিক-ওদিক করেননি তিনি ﷺ।

আমরা হুবহু সেরকম পারব না, পুরোপুরি সেভাবে পারব না, ঠিক! কিন্তু আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলা উনাকে (ﷺ) অনুসরণ-অনুকরণ ফরয – আবশ্যকীয় করে দিয়েছেন। এর মানেই হল, আমাদের প্রত্যেককে স্ব-স্ব অবস্থানে রাসূলে কারীম ﷺ-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করার চেষ্টা করতে হবে, এতটুকুই আমরা আদিষ্ট। পূর্ণাঙ্গ সেই সুমহান চরিত্রের মতন কোনোদিন হওয়া সম্ভব নয় – এমন অজুহাতে আমরা বসে গেলে হবে না। পরিবারে কর্তা হিসেবে আমার মূল দায়িত্ব কী, কিভাবে তা বাস্তবায়ন করব – তার (ﷺ) পবিত্র জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে চলতে হবে। স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর আচরণ, সন্তানের সঙ্গে পিতার আচরণ কেমন হবে, সব উত্তমের শ্রেষ্ঠ নমুনা আমাদের প্রিয় নবীজী, আল্লাহর রাসূল ﷺ।

বর্তমান সময়ে পরিবারের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনার কত বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তাই না আমরা করে থাকি! অথচ শান্তি প্রতিষ্ঠা, শান্তি বজায় রাখা আর সব সমস্যা নিরসনে রাসূলে কারীম ﷺ-এর অনুসরণের কোনো বিকল্প নেই। মুসলমান হিসেবে আমাদের দায়িত্বে এতটুকুই, আমরা রাসূলে কারীম ﷺ-এর অনুসরণ করব। এতটুকু করলেই আল্লাহ তাআলার সাহায্য আসবে। একজন মুসলমান হিসেবে আমাকে জানতে হবে ‘এ অবস্থায়’, অর্থাৎ, আমার এখন যে অবস্থা, উম্মতের জন্য রাসূলে কারীম ﷺ-এর নির্দেশনা এখানে কী(?) এটি জেনেই আমার তা জীবনে বাস্তবায়নে লেগে যেতে হবে। এতটুকু আমরা করব আর আল্লাহ তাআলা আপন রহমত ও কুদরতকে আমাদের সাহায্য করবেন, অবস্থাকে তিনি তখন আমাদের অনুকূল করে দেবেন, এটি আল্লাহ তাআলার প্রতিশ্রুতি।

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post

সত্য মুক্তি দেয়, মিথ্যা ধ্বংস করে

Next Post

আল্লাহ তাআলার অধীন যে ভালোবাসা নয়: তাতে কেবল ক্ষতি