Dark Mode Light Mode

মজলুম মুসলমানদের জন্য যদি এতটুকুও..

মজলুম মুসলমানদের জন্য যদি এতটুকুও করতে না পারি, তাহলে এ প্রশ্ন অবশ্যই আসবে, আমরা কি তাদের ভাই নয়?!

বর্বর জাতি ইহুদি। তাদের বর্বরতা সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। এই বজ্জাত জাতিকে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়া সাল্লাম পবিত্র মদীনা থেকে বের করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, দুনিয়াতে এদের থাকার উপযুক্ত কোনো জায়গা নেই! এরা অভিশপ্ত, এরা আল্লাহর যমীনে স্থির থাকার সম্পূর্ণ অযোগ্য।

সারা বিশ্বের আনাচে কানাচের যেখানেই মুসলমান আছে, খাঁটি ঈমানদার আছে, তাদের সবাই মহা-উদগ্রীব। খুবই স্বাভাবিক, ইহুদি আর তার বন্ধুদের যে জুলুম অবলোকন করতে হচ্ছে তার সহ্যের সীমা আর বাকি নেই!

আমাদের মুসলিম ভাইদের জন্য দোআ, সাহায্য — আর যা যতভাবে যতটুকু সম্ভব, সব করতে প্রস্তুত আমরা। যদি সশস্ত্র জিহাদে যোগদান করা যেত, সেটাই হত প্রকৃত সাহায্য, সর্বোত্তম নুসরত, কোনো সন্দেহ নেই। সেই সুযোগটি আসার আগ পর্যন্ত কী করা যায়, কতটুকু করা সম্ভব, ততটুকু অন্তত আজ করি!

অনেকের কাছে “মার্চ ফর গাজা” কর্মসূচি নিয়ে দ্বিধা তৈরি হয়েছে। আসলে, কোন্ এন্তেজাম বা আয়োজন — কোন্ যুগে কতটুকু নেওয়াটা উচিত, সমসাময়িক বিজ্ঞ আলেমগণ বলে দেন। সে অনুযায়ী আমল করার মাঝেই স্বস্তি ও সফলতা। সবযুগে যুদ্ধের নিয়ম-কৌশল আর প্রতিবাদের কায়দা কানুনও এক রকম ছিল না, থাকে না। এসব সময়, পরিবেশ, পারিপার্শ্বিকতার কারণে বদলাতে থাকে। ইসলামের নীতিও এক্ষেত্রে প্রশস্ত। এখন তো আর উঠ-তলোয়ার নিয়ে মাঠে নামালে হবে না! আবার এমনও নয় যে, ফাইটার আর ড্রোন না থাকলে শুধু মসজিদে অথবা জায়নামাযে বসে দোআই করতে হবে! দোআ তো করবই, যদি পথে নেমে, এক অঞ্চলের মুসলিমরা সেখানের উলামায়ে হকের নির্দেশে নিজেদের মজলুম ভাইদের সঙ্গে একাত্ম ঘোষণ করে, তাদের জন্য দোআর উদ্দেশ্যে জমা হয়ে যায়, এটি তো সৌভাগ্যের বিষয়, এখানে দ্বিধার কিছু থাকবে কেন?!

আমরা বড় কিছু পারছি না, ছোট কিছুই করি! আল্লাহ তাআলা ইখলাস-পূর্ণ ছোট প্রচেষ্টাও পছন্দ করেন। হতে পারে, এরই মাধ্যমে দ্বীনের জন্য বড় ত্যাগের সুযোগও চলে আসবে!

সেজন্য আজ ১২ই এপ্রিল ২০২৫-এ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যে মার্চ ফর গাজা হবে ইনশাআল্লাহ, সেটি আমাদের অঞ্চলের মুসলিম ভাতৃত্ববোধ জাগরণ, পুরো মুসলিম বিশ্বে ঈমানদারদের একাত্ম ঘোষণার, মজলুম মুসলমানদের সঙ্গে বা পাশে সবসময় থাকার ও বর্বর ইহুদি জাতির বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা। সর্বোপরি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে ইজতেমায়ী দোআ — যা যেকোনো নেক কাজের সঙ্গেই করা জরুরি। কারণ তাঁর সাহায্য ছাড়া কিছুই কোনো কাজে আসবে না!

আল্লাহ! আমাদের এ মেহনতটি কবুল কর, এটির সব নেক উদ্দেশ্যকে তুমি বাস্তবায়ন করে দাও — আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।

Palestine Solidarity Movement-এর পক্ষ হতে দেয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি পড়তে ক্লিক করুন “প্রেস বিজ্ঞপ্তি: মার্চ ফর গাজা

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post

রমযানের শেষ দশকে আরও সজাগ হতে হবে

Next Post

আসুন চির শান্তি ও সফলতার পথে