যখন ফেতনা-ফ্যাসাদ চারদিকে এতটা প্রকট, আমরা কেউই আশঙ্কামুক্ত হতে পারছি না, ঈমান-আমল-জান-মাল ইত্যাদি নিয়ে এতটা শঙ্কাযুক্ত, তখন আমাদের প্রিয় নবীজী ﷺ এর নির্দেশনাগুলো মেনে চলা কত জরুরি?! যে কাজটি সবসময়ই জরুরি (প্রিয় নবীজী ﷺ এর নির্দেশনাগুলো মেনে চলা) সেটি তো কোনো কোনো অবস্থায় আরো বেশি জরুরি হয়ে পড়ে!
উকবা বিন আমের رضي الله عنه -এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে (অর্থ) রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাকে প্রত্যেক সালাতের পর মু’ওয়াওওয়াযাতাইন (অর্থাৎ আশ্রয়দানকারী দুই সূরা — ফালাক ও নাস) পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিরমিযী
সূরা ফালাক ও সূরা নাসের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা, উপকারিতার কথা আমরা সাধারণ মুসলমানগণও খুব ভালো করে জানি! সমগ্র সৃষ্টিকূলের অনিষ্টতা থেকে ও বিশেষভাবে মানুষ ও মানুষরূপী প্রত্যেক শত্রুর অনিষ্টতা থেকে বাঁচার এত শক্তিশালী ঢাল আর কী হতে পারে যা আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় হাবীব ﷺ-এর ওপর নাযিল করেছেন?! শানে নুযূলও আমাদের অনেকেরই জানা! প্রিয় নবীজী ﷺ কে পর্যন্ত যাদু-টোনা করে তার পবিত্র সত্ত্বায় ক্ষতি পৌঁছানো জঘন্য পাঁয়তারা করা হয়েছিল। তখন এ দুটি সূরা নাযিল প্রিয় নবীজী ﷺ-এর রক্ষাকবচ হয়েছিল (মাশাআল্লাহ!)।
আমাদেরও সজাগ হতে হবে। তাই সকাল সন্ধ্যা যেমন তিনবার করে সূরা দুটি পড়ে থাকি এবং রাতে ঘুমানোর আগে তিনবার পড়ে যেমন এ সূরা দুটি শরীরে দম করে থাকি, আসুন উপরে বর্ণিত হাদীসের নির্দেশনা অনুযায়ী, আমরা আমাদের দৈনন্দিন আমলে প্রত্যেক সালাতের পর সুরা দুটি পাঠ করাকে যুক্ত করে নিই ইনশাআল্লাহ!