Dark Mode Light Mode

দোআয় আলসেমি ও গাফিলতি নয়

দোআ একটি বিস্ময়কর ইবাদত।

বান্দা যখনই দোআ করতে শুরু করে কয়েকটি ঘটনা এক সাথে ঘটে। বান্দা আল্লাহ পাকের দিকে ঝুঁকে। ফলে বান্দার মধ্যে বিনয় সৃষ্টি হয়। আল্লাহ পাকের সাথে বান্দার নীরব কথোপকথন শুরু হয়। আল্লাহ পাক বান্দার দোআ শুনেন, বান্দার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেন। বান্দার সাথে তার মালিকের সম্পর্ক মজবুত হয়। বান্দার প্রয়োজন পূরণ করেন। তারপরও আল্লাহ তাআলা আপন বান্দাকে দোআ উপলক্ষে আরও কত কী দান করেন – সেটা আমাদের অজানাই থেকে যায়।

আমরা দোআ করায় আলসেমি করে থাকি। তার অন্যতম কারণ, আমরা দোআ-কবুলকারীর শক্তি সম্পর্কে বেখবর। তাঁর কুদরত সম্পর্কে আমাদের দৃঢ়-বিশ্বাস তথা ইয়াকীন খুব দুর্বল।

বলা হচ্ছে, অমুক সময় চাও (যেমন ফরয নামাযের পর) – দোআ কবুল হবে, তবুও আমরা গাফেল। দেখুন তাহলে আমাদের গাফলত কোন পর্যায়ের?! বন্ধুর সাথে লম্বা সময় গল্প আর আড্ডায় পাড় হয়ে যায়, কিন্তু মহামহিম আল্লাহ তাআলার কাছে দুই/পাঁচ মিনিট নিজের জন্য চাইতে কত আলসেমি করি।

আসুন আমরা আলসেমি ও গাফিলতি থেকে তওবা করে দোআর জীবন গড়ে তুলি। মালিকের কাছ থেকে এত সহজে যদি দুনিয়া-আখেরাতের সমস্যার সমাধান করা যায় – আর লাগে কী? চেষ্টা-তদবীরতো জায়গা মতন করা হয় – করব, কিন্তু যাঁর হাতে সব কাজের মূল চাবি, তাঁর সাহায্য না চেয়ে আমি কিভাবে সফলতার আশা করব?! দুনিয়ার পরীক্ষাই হল এটা যে, কে আল্লাহ পাকের বেঁধে দেয়া সীমার মধ্যে চেষ্টা করে তাঁর সাহায্য চায়। এ বৈশিষ্ট্যধারী ব্যক্তিই তো আল্লাহ পাকের অনুগত বান্দা।

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post

মুমিনের জীবন হবে দোআ ও যিকিরের

Next Post
শেষ দশক উপস্থিত: কেউ বঞ্চিত না থাকি

শেষ দশক উপস্থিত: কেউ বঞ্চিত না থাকি