Dark Mode Light Mode

দোআ হোক জীবনের প্রতি মুহূর্তের ইবাদত

আল্লাহ পাকের কাছে চান। মন ভরে, প্রাণ ভরে চান। দোআ করতে থাকেন। এতে তাঁর সাথে সম্পর্ক আরো মজবুত হবে, ইবাদতে আরও মন লাগবে, সব সমস্যার সমাধান হবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর কাছে সাধারণভাবে চাবেন এবং নির্দিষ্টভাবেও চাবেন।

দোআ করার জন্য কোনো বিশেষ সময় বা অবস্থার অপেক্ষা করা লাগে না। ফরয নামাযের পর চান, শেষ রাতে চান, দিনে, দুপুরে, বিকালে, সন্ধ্যায় চান। বসে, শুয়ে, দাঁড়িয়ে ও হাটতে হাটতেও চান। ওযু অবস্থায় থাকলেও চান, ওযু না থাকলেও চান। মনে মনে চান, কথা বলেও চান। হাত তুলে চান, হাত না তুলেও চান। বিপদে পড়লে চান, শান্তিতে থাকলেও চান। কুরআন-হাদীসের দোআর মাধ্যমে চান, চান নিজের ভাষায়ও। নিজের জন্য চান, চান আত্মীয়-অনাত্মীয় সব মুমিনদের জন্য। জীবিত আর মরহুমদের জন্য চান। পুরা উম্মতের জন্য চান।

আল্লাহ তাআলার কাছে চাওয়াই হল দোআ। আমরা আল্লাহ তাআলার শতভাগ মুখাপেক্ষী। তাঁর সাহায্য ছাড়া আমাদের কোনো  উপায় নেই। অতএব, সবসময় আল্লাহ তাআলার কাছে চাইতে হবে – দোআর জীবন গড়তে হবে। এমন কোনো অবস্থা নেই যেক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদেরকে দোআ শেখাননি। তিনি ﷺ নিজে জায়গায়-জায়গায় করে দেখিয়েছেন। তাই যেকোনো অবস্থায় থাকুন, দোআ অব্যাহত রাখুন। যখন বান্দা দোআর অভ্যাস করবে, সে ইহকালেই দোআ কবুলের অনেক বরকত দেখবে, আর আখেরাতে পাবে বহুগুণ বেশি ইনশাআল্লাহ।

আমরা যখন ‘চাওয়ার’ বা দোআ করার জীবন গড়ব তখন ঈমান মজবুত হতে থাকবে ও নেক কাজে উন্নতি হতে থাকবে। দোআকে হাদীসে ইবাদতের সারবস্তু বা ‘মূল’ বলে আখ্যা করা হয়েছে। একটু লক্ষ করুন, মানুষকে সৃষ্টির মূল লক্ষ্য ইবাদত, আর ইবাদতের মূল বা সারবস্তু দোআ। তাহলে দোআ কত বড় ইবাদত। সব ইবাদতে দোআ সম্পৃক্ত আছে।

হে আল্লাহ! আমাদেরকে অধিক দোআ করার তাওফীক দিন। আমীন।

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post

ঈদের আনন্দ ও খুশি: এও তো আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির পথেই হতে হবে!

Next Post

মোবাইল ব্যবহার করে নেক কাজ করার কয়েকটি সহজ উপায়