আখলাক ও আত্মশুদ্ধি

গুরুত্বপূর্ণ ‘সব’ বিষয়ে সাধ্যমতন পরামর্শ করুন, তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিন

আল্লাহ তাআলার ওপর ভরসা করে পরামর্শ করে কাজ করা আজ আমরা ভুলে বসেছি। দ্বীনি বিষয়ে তো অবহেলার অন্ত নেই, জাগতিক বিষয়েও আমরা ঠিকমতন পরামর্শ করি না। এতে দুশ্চিন্তা, অস্থিরতা ইত্যাদি আমাদের ওপর চেপে বসে। যখন বিপদে হাবুডুবু দিশেহারা অবস্থা হয়, তখন চারপাশের মানুষকে বলি, “বলুন তো এখন কী করব?!” অথচ কাজ করার আগেই এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি নিজ শায়খ/মুরুব্বী/সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে জানা উচিত ছিল। তাদের সঙ্গে শলা-পরামর্শ ও আলোচনা করা উচিত ছিল।
মুফতী মুহাম্মাদ শফী رحمة الله عليه তার কাছে বায়আত হওয়া একজন মুরীদকে স্পষ্ট বলেছিলেন যে, কেবল শরিয়তের আমল সম্পর্কে নয়, জাগতিক কাজেও তিনি যেন  (মুফতী সাহেবের) সঙ্গে পরামর্শ করে চলেন।
আমাদের অবস্থা কী? আমরা আমাদের মুরুব্বীদেরকে ঠিকমতন আমাদের অন্তরের অবস্থা জানানো দূরে থাক, অনেক তথ্য দে-ই না। নফস এখানে বিভিন্ন বাহানা খুঁজে। আমাদের নফস আমাদেরকে বলে: আল্লাহ! এটা কি শায়খকে বলা যায়? আরে এমন কথার উত্তর তো আমি নিজেই জানি। উনাকে বললে তো উনি এমন এমন বলবেন, আমি তো সেটি মানতে পারব না ইত্যাদি।
তাহলে আর শায়খ/মুরুব্বির দরকার কী?! মনমতন চলছিলাম, সেভাবেই তো চলছি! যদিও মুরুব্বী থাকার কিছু ফায়দা তো আছেই, কিন্তু আসল বা পূর্ণ ফায়দার নেওয়ার জন্য কি আমরা তাদের সঙ্গে নিজের অবস্থা ভেঙে বলে নির্দেশনা নেব না?!
অনেকে বাসায় পর্যন্ত নিজের ব্যক্তিগত সমস্যা, পারিবারিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো আলাপ-পরামর্শ করি না। শুধু নিজে নিজে একরকম পরিকল্পনা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। এটা নিজের জন্য বঞ্চনা ছাড়া আর কী?!

Last Updated on December 4, 2023 @ 8:58 am by IslamInLife বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: you are not allowed to select/copy content. If you want you can share it