Dark Mode Light Mode

কী রেখে যাচ্ছি বিদায়ের আগে – ২

সর্বপ্রথম যে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করা উচিত তা হল, আমি নিজ চেষ্টা-তদবির ও মেধাকে কোন পথে ব্যয় করছি?

এ কথাটি ভুলে গেলে চলবে না যে, আমার কিছুই ‘আমার’ নয়। আমার শরীর-আত্মার মূল মালিক আল্লাহ তাআলাই। সুতরাং আমি আজ আমার অর্জন, আমার সম্পদ, আমার যোগ্যতা, আমার কর্তৃত্ব ও ‘আমার’ বলতে যতকিছু বুঝি, একটু স্থিরভাবে চিন্তা করলে উপলব্ধি করা যায় এগুলোর মালিক হলেন তিনি, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। মালিক আমাকে দেয়া সব বিষয়ের ব্যবহারও শিখিয়ে দিয়েছেন। অতএব সবকিছুর ব্যবহার মালিকের ইচ্ছাধীন হতে হবে।

পার্থিব হায়াতের মধ্যেই পরকালের ফসল বুনতে হবে। কারণ পার্থিব জীবনটি হল পরকালের শস্যক্ষেত্র। আমাদের মাঝে কে কী ফসল বুনছে – সেটাই আখেরাতে পূর্ণাঙ্গরূপে প্রকাশ পাবে।

এই পৃথিবী নামক শস্যক্ষত্রে সতর্কতার সাথে বীজ বপন করতে হবে। বলাই হল যে, যেটাকে আজ আমরা ‘নিজের’ চিন্তা-তদবির ও মেধা বলছি সেটা মূলত আমাদেরকে আল্লাহ তাআলার দেয়া অশেষ নেয়ামত। এগুলোর যথেচ্ছা ব্যবহার করে যদি কোনো ব্যক্তি মনগড়া চিন্তা-চেতনায় দল, গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা, দর্শন গড়ে তোলে, তাহলে তার বীজ বপনটা কেমন? মনগড়া মানেই সেটা মালিকের ইচ্ছার বিপরীত কিছু। অতএব ঐ ব্যক্তি নেয়ামতের ‘যথেচ্ছা ব্যবহার’ করে আল্লাহ-প্রদত্ত নেয়ামতের না-শোকরই করল। বাহ্যত যদি সেটা কোনো জনকল্যাণমূলক কাজও হয়ে থাকে এবং বহু মানুষের উপকারও পৌঁছাচ্ছে – দেখা যায়, আল্লাহ তাআলার অবাধ্যতা সেটার ভিত্তির হওয়ার কারণে মূলত সেটা মন্দ কাজ। তার পরিণতিও কেবল মন্দ। এরূপ বীজ-বপনকারী সমাজে মন্দ বীজ বপন করে, মন্দ কাজেরই বিস্তার করল। তাই তাকে (ঐ মন্দ কাজের বীজ-বপনকারী ব্যক্তিকেই) সর্বোচ্চ দায়-ভার বহন করতে হবে।

নেক চিন্তাধারা ও কাজের বীজ-বপনকারী যেমন ঐ নেকের সর্বোচ্চ প্রতিফল ভোগ করবে, মন্দ চিন্তাধারা ও কাজের বীজ-বপনকারী তেমনি ঐ মন্দের সর্বোচ্চ প্রতিফল ভোগ করবে।

আমাকে সর্বপ্রথম দেখতে হবে, আমি কী বীজ বুনছি? আমার মাধ্যমে অন্যায়-অনাচার বিস্তার লাভ করছে না তো?

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post

প্রাধান্য কি পার্থিব জীবন নাকি আখেরাত

Next Post

কী রেখে যাচ্ছি বিদায়ের আগে – ৩