অনেক সময় কী দোআ করব তা আমরা মনে করতে পারিনা, বা অনেক কিছু ভুলে যাই। তাই মোটামুটি কিছু বিষয় নিচে দেয়া হল:
নিজ মাগফেরাত, মাতা-পিতার মাগফেরাত, নেক স্ত্রী(স্বামী)-সন্তান ও তাদের যাবতীয় কল্যাণ, সকল আত্মীয়, প্রতিবেশী, ভাই-বন্ধুদের কল্যাণ, উম্মতে মুসলিমার যাবতীয় কল্যাণ মাগফেরাত, উপকারী এলম, দ্বীনের খেদমতের তাওফীক, তাকওয়া, পিতা-মাতার খেদমতের তাওফীক, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনের জন্য মাগফেরাত, আল্লাহ তাআলার সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার তাওফীক, সুস্বাস্থ্য ও রোগ-মুক্তি, হালাল রিযিক ও রিযিকে বরকত, জাহান্নাম থেকে মুক্তি, জান্নাতে প্রবেশ, খাঁটি তওবার তাওফীক, সুন্নতের অনুসরণ, নবীজীর ﷺ শাফাআত, হজ্জ ও উমরার তাওফীক, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল ﷺ-এর মুহব্বত, উলামায়েকেরামের সঙ্গ/সুহবত লাভের তাওফীক, দোআর তাওফীক, নেক কাজের তাওফীক, গুনাহ থেকে বাঁচার তাওফীক, আল্লাহর পথে শহীদ হওয়ার তাওফীক, অধিক তেলাওয়াত যিকিরের তাওফীক, রোযা-তারাবীহ-সাহরী-ইফতার-এর কবুলিয়াত, ঈমান নিয়ে মৃত্যু, কবরের আযাব থেকে মুক্তি, আজীবন দ্বীনের উপর টিকে থাকার তাওফীক, নিকট আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধব যারা ইন্তেকাল করে গেছেন – তাদের জন্য দোআয়ে মাগফেরাত, জীবিত সবার জন্য এভাবে খায়েরের জন্য দোআ, যার যা বিশেষ ভাবে প্রয়োজন তার জন্য দোআ, মুমিন-মুমিনাদের জন্য মাগফেরাতের দোআ, মজলুম মুসলমানদের জন্য দোআ, অমুসলিমদের জন্য হেদায়াত, দুনিয়া ও আখেরাতের আফিআত (শান্তি,স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা) চাওয়া, আল্লাহ তাআলা অভিভাকত্ব চাওয়া, সব বিষয় আসান (সহজ) হওয়ার জন্য দোআ, শত্রুর শত্রুতা বিরুদ্ধে সাহায্য, সব রকম ফেতনা থেকে বাঁচার দোআ, যালেম থেকে বাঁচার জন্য সাহায্য, দুনিয়ার ভালোবাসা থেকে পানাহ চাওয়া, আখরাতের অভিলাষী হওয়ার তাওফীক, সম্মান ও মালের মোহ থেকে বাঁচার তাওফীক, সঠিক দ্বীনি জ্ঞানার্জনের তাওফীক ও তদনুযায়ী আমলের তাওফীক, বদ্বীন সঙ্গ ও বন্ধু-বান্ধব থেকে আশ্রয়, শয়তান ও নফস-এর যাবতীয় ধোঁকা থেকে বাঁচার তাওফীক, বিপদাপদ ও কঠিন রোগ-অসুখ থেকে পানাহ চাওয়া ও নেক আমলের মকবুলিয়াত।
আর হিসনে হাসীন, মুনাজাতে মাকবুল ইত্যাদি দোআর বইগুলো দেখলে তো কুরআন–হাদীসের দোআ আছে। সংগ্রহ করে অবশ্যই পড়ব ইনশাআল্লাহ।
