অধিক, অপ্রয়োজনীয় ও যথেচ্ছা কথার দ্বারা নিজেদেরকে আজ আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছি।
কথাকে সামলে বলার অভ্যাস আজ উম্মতের মাঝে খুবই দুর্লভ এক রত্ন!
“পান থেকে চুন খসলেই…” আজ মন্তব্যের হাওয়া। সবাইকে কিছু না কিছু বলতে হবে। সবাই কিছু বলতে চায়। সবাই এমনভাবে কিছু বলতে চায় যে, যার যার মতামত যেন ঠিক বা সর্বোত্তম। প্রত্যেকের কাছে যেন মনে হচ্ছে যে, আমার এখানে কিছু বলা উচিত, আমার বলার অধিকার রয়েছে।
হ্যাঁ, এ কথা তো অনস্বীকার্য যে, কথা বলার অধিকার মানুষের রয়েছে, কিন্তু সাথে সাথে এ কথাও তো ঠিক যে, সবার সব কথা বলার অধিকার নেই। আবার সবারই কোনো বিষয়ে কথা বলার একটা সীমাও রয়েছে। আবার সব কথা সবক্ষেত্রে বলা টাও সঙ্গত নয়।
আফসোস! দ্বীন তথা ইসলাম থেকে দূরে থেকে সরে গিয়ে আমরা আজ সবকিছু কে “আমার” তথা “নিজস্ব সম্পদ” ঠাওরিয়েছি। তাই সবকিছুর মতন জবান বা মুখ টাও যেহেতু “আমার” বলেই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, সেটাকেও চালাচ্ছি যথেচ্ছা। আল্লাহ তাআলা আমাদের সংশোধনের তাওফীক দিন।
আমাদের জন্য সর্বোত্তম আদর্শ, সাহাবা-গণ (রা)-এর মাঝে কারোর কারোর অবস্থাতো এমন ছিল যে, উনারা নিজ জিহ্বা-কে টানতেন, মুখে পাথর ভরে নিজেকে ভর্ৎসনা করতেন। নিজেকে এইভাবে হুঁশিয়ার করতেন মুখ দিয়ে যেন যে কোনো কথা বের না হয়। সাহাবা-গণ (রা)-এর সামনে পবিত্র কুরআনের সেই আয়াতটিও জাজ্বল্যমান ছিল, যেমনি ছিল অন্যান্য আয়াতসমূহ:
مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلا لَدَيْهِ رَقِيبٌ عَتِيدٌ
অর্থ: মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে, তার জন্য একজন প্রহরী নিযুক্ত আছে, যে (লেখার জন্য) সদা প্রস্তুত। সূরা ক্বাফ – ৫০:১৮