Dark Mode Light Mode

ঈমানের সঙ্গে মৃত্যু

যারা আমরা জীবিত, তাদের ঈমান নষ্ট হওয়ার ব্যাপারে শয়তান কিন্তু নিরাশ নয়! তবে হাঁ, যেদিন ইনশাআল্লাহ আমরা ঈমান নিয়ে দুনিয়া থেকে যেতে পারব সেদিন সে আমাদের ক্ষতি করার ব্যাপারে নিরাশ হবে। তার আগ পর্যন্ত আমরাও যেন নিশ্চিন্ত না হয়ে যাই যে, আমি তো ঈমান নিয়ে কবরে যেতে পারব! আমরা কেউ আমাদের শেষ পরিণতি জানি না।

ঈমান নিয়ে মৃত্যুর জন্য আমাদের কী করণীয়

সবসময় তওবা-ইস্তেগফার করতে হবে। ফরয-ওয়াজিব কাজগুলো করে যেতে হবে। নিষিদ্ধ কাজগুলি থেকে সাধ্য মতন বাঁচার চেষ্টা করে যেতে হবে। প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য নিজের পরিণতির কথা ভাবতে হবে। আল্লাহ তাআলার কাছে দোআ করতে হবে যেন খাতেমা বিল খায়ের নসীব হয়। প্রতিটি কাজ চিন্তা করে করতে হবে। চিন্তা করতে হবে যে, এ কাজটি করলে আল্লাহ তাআলা নারাজ হবেন না তো? যদি ভালো কাজ হয়, নিয়ত যাচাই করতে, আমি কেবল আল্লাহ পাকের সন্তষ্টির জন্য করছি তো? আর প্রতিটি কাজে সুন্নত অনুসরণের চেষ্টা করতে হবে। সুন্নাহ পন্থায় কাজ করার অভ্যাস করতে হবে। মানুষের হক আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ লক্ষ রাখতে হবে। হিংসা, কোটনামি, গীবত পরিত্যাগ করতে হবে। ইনশাআল্লাহ ঈমান নিয়ে যেতে পারব তাহলে!

যাচাই করি আমি মুনাফিক কিনা

আগের যুগের মানুষেরা নিজের ঈমানের ব্যাপারে চিন্তিত থাকতেন। অথচ তারা আমাদের তুলনায় অনেক উন্নত মানুষ ছিলেন! তারা গুনাহ থেকে সাধ্যমতন বিরত তো থাকতেনই, উপরন্তু তারা নেক কাজের ব্যাপারে অনেক তৎপর ও যত্নশীল ছিলেন। তাও তারা নিজেদের অবস্থা নিয়ে শঙ্কিত থাকতেন। আমাদের অবস্থা অবশ্য বিপরীত। আমরা গুনাহ বেশি করি, নেক কাজে আলসেমি করি। কিন্তু নিজ ঈমান ও নেক আমল নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা যাচাই করা দূরের কথা, চিন্তা করি না আমার ঈমানের কী অবস্থা(?)

কত পবিত্র অন্তরের অধিকারী ছিলেন নবীজী ﷺ-এর সাহাবীগণ! সাইয়েদুনা হুযাইফা رضي الله عنه নবীজী ﷺ-এর একজন সাহাবি ছিলেন। তাকে এক ব্যক্তি বলেছিলেন নিজের ব্যাপারে তার মুনাফিক হওয়ার আশঙ্কা হয়। হুযাইফা رضي الله عنه তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কি নির্জনে নামায পড় আর নির্জন অবস্থায় আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চাও (অর্থাৎ, নির্জনতায় কি এ অভ্যাস দুটি তোমার আছে)? ঐ ব্যক্তি বললেন, জি আছে। হুযাইফা رضي الله عنه তাকে আশ্বস্ত করলেন, যাও — আল্লাহ তাআলা তোমাকে মুনাফিক বানাননি (অর্থাৎ, তুমি মুনাফিক নও)। (তারিখে দিমাস্ক, ইমাম ইবনে আসাকির রাহিমাহুল্লাহ থেকে বর্ণিত)

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post

রমযানুল মুবারকের প্রভাব কাজে লাগানোর সুবর্ণ সুযোগ

Next Post

যুলহিজ্জার প্রথম দশক: রবের কাছে কত প্রিয়!