Dark Mode Light Mode

কিভাবে অতিবাহিত করবেন রমযানের শেষ দশকের রাত

রমযানুল মুবারকের শেষ দশকের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য সম্পর্কে কোন মুসলমান অবগত নয়?! সবাই এটি জানে। সবচেয়ে সৌভাগ্যবান তারা যারা কিনা রাসূলে আকরাম ﷺ-এর সুমহান সুন্নত অনুরসরণে মাসটির শেষ দশকে ইতিকাফ করেন।

আর যারা আমরা প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ইতিকাফ করতে পারছি না, সাধ্যানুযায়ী বাসায় ইবাদত করব ইনশাআল্লাহ।

শেষ দশকের বিজোড়ের গুরুত্ব বেশি হলেও প্রতিটি রাতেই ইবাদত বৃদ্ধি করুন ইনশাআল্লাহ।

লাইলাতুল কদরকে কেন্দ্র করে কোনো সুনির্দিষ্ট ইবাদত বর্ণিত নেই।

হাতের কাছে কুরআন মাজীদ, তাসবীহ ও মুনাজাতে মাকবুল রাখুন। মাগরিবের পর থেকেই রাত শুরু। এশার প্রথম অংশেই কিছু নফল ইবাদত করুন। এগিয়ে গেলেন।

এশা-তারাবীহর পর কিছুক্ষণ আরাম করে নিন। আরামের এ সময়টিতে বাড়িতে সবাই মিলে তালীম করতে পারেন, দ্বীনি কথা, বিশেষভাবে লাইলাতুল কদর সম্পর্কিত হাদীস পাঠ করতে পারেন। অথবা সূরা কদরের তাফসীর পাঠ করতে পারেন। তারপর সবাই পৃথক হয়ে সাধ্যানুযায়ী ইবাদতে মনোযোগী হোন।

যদি আরাম/ঘুমের প্রয়োজন হয়, আরাম করে নিন। ওদিকে সাহরি খাওয়ার অন্তত এক দেড় ঘন্টা আগে উঠে আবার ইবাদতে মশগুল হোন। সাহরি খেয়ে ইনশাআল্লাহ ফজর পর্যন্ত দোআ-ইস্তেগফারে মশগুল থাকুন ইনশাআল্লাহ।

অন্তত সর্বনাশা গুনাহ যেন না হয়। খুব সাবধান থাকুন। মোবাইল, ইন্টারনেট, টিভি, বন্ধ-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা — এসব হল ক্ষতির বড় বড় মাধ্যম। আমরা চেষ্টা না করলে আল্লাহ তাআলার রহমত আসবে, এ আশা বৃথা।

তেলাওয়াত, নফল নামায, দোআ, যিকির — এইত মূলত ইবাদত। মনে রাখবেন, এসব রাতে এককভাবে ইবাদত করতে হয়। যাদের বাসায় রোগী বা দুর্বল মানুষ আছে, তাদের খেদমত অনেক বড় ইবাদত। তারা নফল ইবাদত করার জন্য একদমই পেরেশান হবেন না। সাধ্যানুযায়ী যতটুকু সম্ভব নফল ইবাদত করে শিশু, বয়স্ক মানুষ ও রোগীদের খেদমত করুন।

এ রাতগুলোতে খুব ইস্তেগফার-তওবা করুন। আন্তরিকভাবে জীবনকে ইতিবাচক ধারায় প্রবাহের দৃঢ় সঙ্কল্প করে সবকিছুর জন্য আল্লাহ তাআলার সাহায্য চান; সব মন্দ থেকে বিষয়াদি থেকে পানাহ চাব ইনশাআল্লাহ।

পুরো উম্মতে মুসলিমার জন্য দোআ করব ইনশাআল্লাহ। কী দোআ করবেন? এ সম্পর্কে আমাদের সাইটে এই প্রবন্ধটি দেখুন, পড়ুন ইনশাআল্লাহ।

আমাদের মতন দুর্বল বান্দাদের হয়ত এক টানা অনেক নফল ইবাদত ভালো লাগবে না। তাই কিছু দ্বীনি কিতাব হাতের কাছে রাখুন। নামায, তেলাওয়াত, দোআর ফাঁকে দ্বীনি কিতাব পড়তে পারেন।

মূলত দোআ, দরূদ, তেলাওয়াত, নামায, তওবা-ইস্তেগফারে যেন অতিবাহিত হয় এক একটি মহিমান্বিত রাত। কম হোক, কিন্তু সুন্নাহ পন্থায় হোক! অর্থাৎ, শুধু আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট করার লক্ষ্যে সুন্নাহসম্মত ইবাদত করা উচিত। আর গুনাহ পুরোপুরি পরিহার করা উচিত।

আল্লাহ তাআলা তাওফীক দান করুন! আমীন।

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post

সাদাকাতুল ফিতর: ফাযায়েল ও মাসায়েল

Next Post

তওবা: চিরশান্তি ও সফলতার পথ