সেই দিনটি আসছে
পার্থিব জীবন পরীক্ষাগার। এখানের প্রতিটি মুহূর্তের পরীক্ষা হল কী অর্জন করছি। আজ কী অর্জন করছি সেটা অতি সত্ত্বর নিজ চোখে আমরা প্রত্যেকেই দেখব। মানুষ যেমন এ জীবনে তার বিভিন্ন পরীক্ষার ফলাফল নিজেই দেখে। বরং তার চেয়ে বেশি স্পষ্ট ও পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে দেখব – এই পার্থিব জীবনে আমরা কে কী অর্জন করেছি।
এই চিন্তা চেতনা জাগ্রত রাখার মাঝে বহু কল্যাণ নিহিত। মানুষ স্মরণ রাখতে পারে তার একজন সৃষ্টিকর্তা আছে, তিনি সব সময় আমাদের দেখছেন। তাঁর কাছেই আমাদের ফিরে যেতে হবে, তাঁর কাছেই আমাদের কাজকর্মের হিসাব দিতে হবে। হিসাববিহীন ছাড়া পাওয়া যাবে না। ভাল-মন্দ সব কিছুর হিসাব হবে।
এ পার্থিব জীবনে তাঁর হুকুম লঙ্ঘনের অবকাশ দেয়া হয়েছে। কর যা ইচ্ছা! কিন্তু মৃত্যুর পর এক জীবন আসছে। দুনিয়াতে কৃতকর্মের ফল ভোগের জায়গা সেটা, সেখানে করার কিছু নেই – যা করেছ তার ফল শুধু চাখ, তার ফল এখন ভোগ কর। নিজেকে সৎ প্রমাণের আর কোন সুযোগই সেখানে থাকবে না। হাঁ, কেবল ফলাফল ঘোষিত হবে যে অমুক দুনিয়াতে থাকতে এই করেছে আর এই তার ফলাফল। মৃত্যু পরবর্তী সেই জীবন অনন্ত-অসীম কালের। যার ফলাফল ভাল হবে সে কত সৌভাগ্যবান! যার ফলাফল খারাপ হবে সে কত হতভাগ্য!
সেই দিনটি আসছে যেদিন মানুষ দুনিয়া থেকে বিদায় নেবে, কোনদিন দুনিয়াতে আর ফিরে আসতে পারবে না, নেক আমলের সুযোগ পাওয়া তো দূরের কথা…