যৌবনে যারা আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করার রোগে আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে এমন কাউকে আমি পাইনি যে বার্দ্ধক্য আসার পরও সে বিশ্বাসে অটল রয়েছে। আফলাতুন
প্রতিদিনই আয়নায় নিজের চেহারা দেখবে। যদি তোমার চেহারা কুদর্শন হয় তবে মন্দ কাজ করে তাকে আরও কুৎসিত কর না। যদি সুদর্শন হও তবে মন্দকাজের দ্বারা সেটাকে কুদর্শন কর না। আফলাতুন
কঠিন দারিদ্র্য এবং মাত্রাতিরিক্ত ধন-সম্পদ মৌলিক মানবীয় যোগ্যতা বিনষ্ট করে দেয়। আফলাতুন
আল্লাহর নিকট এমন বস্তু প্রার্থনা কর না, যার উপকারিতা ক্ষণস্থায়ী, বরং এমন যার উপকারিতা চিরস্থায়ী এবং দুনিয়া-আখেরাত উভয় জগতেই উপকারি হতে পারে তাই প্রার্থনা করবে। আফলাতুন
যে ব্যক্তি পার্থিব আরাম-আয়েশের মধ্যেই পরম তৃপ্তি বোধ করে এবং বিপদাপদে চরমভাবে বিচলিত হয়ে পড়ে সে মোটেও জ্ঞানী নয়। আফলাতুন
ভালো কিছু অর্জন করার লক্ষ্যেও অন্যায়ের আশ্রয় গ্রহণ করা সমীচিন নয়। আফলাতুন
নিজের মানুষগুলোর সাথে সব সময় এমন ব্যবহার করবে, যেন কোনো সময় বিচার-শালিসের সম্মুখিন হতে না হয়। অপরদিকে শত্রুর সাথেও এমন আচরণ করবে, যেন বিচারের সম্মুখীন হলে জিত তোমারই হয়। আফলাতুন
যে ব্যক্তি অন্যদেরকে সৎকাজ করার জন্য উপদেশ দেয় কিন্তু নিজে আমল করে না, সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে অন্ধকারে অন্যকে পথ দেখাবার জন্য হাতে মশাল বহন করে কিন্তু নিজের চোখ অন্ধ করে রাখে। আফলাতুন
যে কোন একটি বিষয় নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করবে, অতঃপর তা মুখে আনবে এবং তারপর সে বিষয়টি কার্যে পরিণত করার চেষ্টা করবে। আফলাতুন
মনে রেখো, তোমার আয়ু নিতান্তই সীমিত এবং কর্মের পরিধি সীমাহীন। প্রকৃত বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি, যে যতটুকু সময় হতে আছে, তার সবটুকু সদ্ব্যবহার করে। আফলাতুন
কোনো ভাল কাজ করতে গিয়ে যদি আঘাত আসে, তাহলে সে আঘাত অম্লান বদনে সহ্য করো। কেননা, আঘাত স্থায়ী হবে না। কিন্তু সৎ কাজটি চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। অনুরূপ কোনো মন্দকাজ করে সাময়িক আনন্দবোধ করলে মনে রেখো, সে আনন্দ নিতান্তই ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু মন্দকাজটির প্রতিক্রিয়া চিরস্থায়ী হয়ে থাকে। আফলাতুন
লোভ-লালসা এবং দুষ্কর্মের প্রেরণা যে পরিমাণ কমবে, বুদ্ধি ততপরিপূর্ণতা লাভ করবে। আফলাতুন
সবচাইতে বদমানুষ ওরাই যারা মানুষের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো প্রচার করে বেড়ায় এবং ভালো দিকগুলো গোপন করে। আফলাতুন
জ্ঞান অর্জন করার ক্ষেত্রে কোনো প্রকার লজ্জাশরম থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। কেননা, মূর্খতার চাইতে বড় লজ্জার বিষয় আর কিছু নেই। আফলাতুন
যত দূরবস্থায়ই পতিত হওনা কেনো, পরাজয় মেনে নিওনা। মনে রেখো, মুমিনের অভিধানে পরাজয় বলতে কিছু নেই।
যখনই নেক মানুষের সাক্ষাত পাবে, উপকারী কিছু জেনে নিও! হয়ত শুধু তার কাজ পর্যবেক্ষণেই তোমার জীবন সংশোধিত হবে বা কোনো রহস্যের দ্বার তোমার অন্তরে খুলে যাবে।
মাঝেমধ্যে চোখ বন্ধ করে নিজের জীবনের অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবো। দেখবে তওবা সহজ হবে, নেক কাজ ত্বরান্বিত হবে, ভালো নিয়ত মজবুত হবে ইনশাআল্লাহ!
যে ব্যক্তি মৃত্যুকে স্মরণ করে, তার জন্য দুনিয়া আসলেই সহজ। কারণ দুনিয়ার লোভ-লালসা দূরে থাক, সেতো প্রয়োজনীয় জিনিসও বেশি চায় না!
আল্লাহকে ডাকা সহজ। তার থেকেও সহজ তাঁকে ডাকার পর তাঁর সাহায্য পাওয়া!
যারা তোমার নেক কাজ আর নেক প্রচেষ্টা দেখে তাচ্ছিল্যের হাসি দেয়, তাদের দেখে অবাক হয়ো না! ঠিক এমন অবস্থায় তো নবীদেরও পড়তে হয়েছিল।
তুমি তোমার ভেতর পরিশুদ্ধির উদ্যােগ নাও। আল্লাহ তাআলা তোমার বাহ্যিক অবস্থা ঠিক করে দেবেন।
যারা সময় নষ্ট করে তারাই 'আমি ব্যস্ত' বলার ফুরসত পায়। সময়ের প্রকৃত মূল্যায়নকারীগণ কাজেই বেশি মগ্ন থাকেন, নিজের ব্যস্ততার নালিশ করেন না।
বহু মানুষ অতীতের অনুতাপ ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় ব্যস্ত। অথচ বর্তমান হলো সংশোধন করে কাজ লেগে যাওয়ার জন্য, কিন্তু সেটা তারা করছে না!
পার্থিব অবস্থা আল্লাহ তাআলা’র ভালোবাসা বা ক্রোধের মাপকাঠি নয়।
সৎসঙ্গের স্বাদ তখনই আস্বাদন করা সম্ভব যখন মন্দলোকের সংস্পর্শ পরিপূর্ণভাবে পরিত্যাগ করা যায়।
যে ব্যক্তি অন্যের বেলায় সুধারণা এবং নিজের আমল সম্পর্কে উদ্বিগ্ন থাকে, সেই প্রকৃত মুত্তাকী। উসমান رضي الله عنه
সর্বোত্তম বাণী হচ্ছে আল্লাহর যিকির, সর্বোত্তম কর্ম আল্লাহর ইবাদত এবং সর্বোত্তম গুণ হচ্ছে ইল্ম। ইবনে সীনা رحمة الله عليه
সে বোকা যে কিনা সূরা বাকারা’র শেষ দুই আয়াত না পড়েই রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। আলী رضي الله عنه
বিপদের সম্মুখীন হয়ে কোনো গরীব মানুষের তোমার নিকট আসাটা আল্লাহ পাকের একটি বিরাট অনুগ্রহ জ্ঞান করবে। আমীরুল মুমিনীন উসমান رضي الله عنه
আল্লাহ'র ভালবাসা যাদের অন্তরে স্থান করে নেয় তাদের অন্তরের ন্যায় শরীরের চামড়াও মোলায়েম হয়ে যায়। একমাত্র আল্লাহ'র স্মরণই তাদের আত্মার শক্তির উপকরণ হয়ে দাঁড়ায়। আমীরুল মুমিনীন উসমান رضي الله عنه
ন্যায়নিষ্ঠা লোক সংখ্যায় নগণ্য হলেও মর্যাদা ও ক্ষমতায় সবসময় অগ্রগণ্য হয়ে থাকে। আমীরুল মুমিনীন উসমান رضي الله عنه
বিপদের সম্মুখীন হয়ে কোনো গরীব মানুষের তোমার নিকট আসাটা আল্লাহ পাকের একটি বিরাট অনুগ্রহ জ্ঞান করবে। আমীরুল মুমিনীন উসমান رضي الله عنه
যার হাতে অন্যের নিন্দাবাদ করার মতো পর্যাপ্ত সময় থাকে তার চাইতে হতভাগা আর কেউ হতে পারে না। আমীরুল মুমিনীন উসমান رضي الله عنه
ফকীর ঐ ব্যক্তি যে নিরিবিলি সময় কাটায় চিন্তা-ফিকিরের সাথে এবং নীরবতা ভঙ্গ করে আল্লাহ’র যিকিরে। ইবনে সীনা رحمة الله عليه
আল্লাহ তা’আলা এরূপ কিছু সংখ্যক বান্দাও রয়েছেন, যাদের অন্তরে আল্লাহ’র স্মরণ এমন এক আনন্দধারায় সৃষ্টি করে, যার মোকাবেলায় জান্নাতের নেয়ামতরাজীও মূল্যহীন হয়ে যায়। এসব লোকই প্রকৃত সাধক। (ছেফাতুস সাফওয়াহ) । শায়খ আবু সুলায়মান দারানী رحمة الله عليه
মুখের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সাথে সাথেই অন্তর সংশোধিত হতে শুরু করে। আমীরুল মুমিনীন উসমান رضي الله عنه
তরবারীর আঘাত মানুষের শরীর আহত করে, কিন্তু কটু কথা দ্বারা মানুষের অন্তর রক্তাক্ত হয়। আমীরুল মুমিনীন উসমান رضي الله عنه
ক্ষুধা-তৃষ্ণার জ্বালা সহ্য করেই কেবল অন্তরের পরিচ্ছন্নতা অর্জিত হয়। তৃপ্তির আহার আত্মাকে অন্ধ করে দেয়। (আল-বেদায়া) শায়খ আবু সুলায়মান দারানী রহ.
আল্লাহপাক যে পর্যন্ত তাঁর কোনো বান্দার প্রকাশ্যে বেইজ্জত করেন না যে পর্যন্ত তার দুস্কৃতি সীমা অতিক্রম না করে। হযরত উমর رضي الله عنه
সর্বক্ষণ আল্লাহ’র প্রশংসায় জিহ্বা সিক্ত রেখো। ইদ্রীস আ.
প্রত্যেক মানুষের জন্য তিনটি বিষয় নিতান্তই কঠিন। ১. মৃত্যুভয়, ২. কঠিন ব্যাধি এবং ৩. ঋণের বোঝা। ইবনে সীনা رحمة الله عليه
যে ব্যক্তি বেশি কথা বলে, স্বভাবতঃই সে কম বুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে থাকে। ইবনে সীনা رحمة الله عليه
কাউকে তুচ্ছ কর না। হতে পারে তুমি যাকে তুচ্ছ করছ, তার মর্যাদা আল্লাহ’র কাছে তোমার চেয়ে বহু গুণ বেশি (অবশ্য যদি সে মুসলমান হয়ে থাকে, অমুসলমান হলেও তার ঈমান আনারও সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না, তাই তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা যাবে না।)!
সর্বাপেক্ষা কঠিন হচ্ছে আত্মার রোগ। ইবনে সীনা رحمة الله عليه
হালাল মালের ফল হচ্ছে উদারতা, ইলমের ফল হচ্ছে নেক আমল এবং ইখলাসের ফল হচ্ছে আল্লাহ’র সন্তুষ্টি। উসমান رضي الله عنه
অন্যের সামনে হাত পাতার চাইতে যে কোনো প্রকার তুচ্ছ পেশার মর্তবা অনেক বেশি। উসমান رضي الله عنه
সংযত দৃষ্টিই পবিত্র হয়ে থাকে। ইবনে সীনা রহ.
মুখের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সাথে সাথেই অন্তর সংশোধিত হতে শুরু করে। উসমান رضي الله عنه
দুনিয়া এবং আখেরাতের মর্যাদা আমলের উপর নির্ভরশীল। উমর رضي الله عنه
এতটুকুই তোমার স্থায়ী সম্পদ যতটুকু তুমি আখেরাতে পাওয়ার জন্য অগ্রিম পাঠিয়ে দিয়েছ। উসমান رضي الله عنه
তাহাজ্জুদে উঠতে গিয়ে অন্যের ঘুম নষ্ট করা কোনো অবস্থাতেই সমীচীন নয়। উসমান رضي الله عنه
খুব মজুবত ইমারত নির্মাণ করে নিশ্চিন্ত হয়ে রয়েছ, অথচ মৃত্যু তোমার পশ্চাতেই লেগে আছে। হাসান বসরী رحمة الله عليه
আখেরাতকে যদি প্রাধান্য দিয়ে চল তা হলে উভয় জাহানেই উপকৃত হবে। আব্দুল কাদের জীলানী رحمة الله عليه
পরনিন্দা শ্রবণকারী ব্যক্তি সেই অপকর্মের সমান শরীকদার বিবেচিত হয়ে থাকে। আলী رضي الله عنه
যে কাজের লক্ষ্যে আখেরাত নয়, তা নিতান্তই অর্থহীন। উসমান رضي الله عنه
আল্লাহ মাফ করে দিবেন, এরূপ দুরাশা নিয়ে গুণাহ করতে থাকা সর্বপেক্ষা দুর্ভাগ্যের আলামত। মুঈনুদ্দীন رحمة الله عليه
সবচেয়ে খারাপ মানুষ ওরাই যারা অন্যের ত্রুটি-বিচ্যুতিগুলো প্রচার করে বেড়ায় এবং ভাল দিকগুলো গোপন করে। আফলাতুন
মনে রেখো, তোমার আয়ু নিতান্তই সীমিত এবং কর্মের পরিধি সীমাহীন। প্রকৃত বুদ্ধিমান সেই ব্যক্তি, যে যতটুকু সময় হাতে আছে, তার সবটুকু সদ্ব্যবহার করে। আফলাতুন
পাপ কোনো না কোনোভাবে মনের শান্তি বিনষ্ট করতে থাকে। আমীরুল মুমিনীন উসমান رحمة الله عليه
ভালো কিছু অর্জন করার লক্ষ্যেও অন্যায়ের আশ্রয় গ্রহণ করা সমীচিন নয়। আফলাতুন
যে ব্যক্তি নিষ্ঠার সাথে আল্লাহ তা’আলার শরণাপন্ন হয় আল্লাহপাক তাকে অবশ্যই সাহায্য করে থাকেন। বসরী رحمة الله عليه
যে ব্যক্তি প্রতিশোধের নেশায় সর্বক্ষণ উন্মুক্ত থাকে তার হৃদয়ের রক্তক্ষরণ কখনও বন্ধ হয় না। ইবনে সীনা رحمة الله عليه
আল্লাহর দেয়া যে কোনো নেয়ামত অপাত্রে ব্যয় করা চরম অকৃতজ্ঞতার শামিল। উসমান رحمة الله عليه
সর্বোত্তম বাণী হচ্ছে আল্লাহর যিকির, সর্বোত্তম কাজ হচ্ছে আল্লাহর ইবাদত এবং সর্বোত্তম গুণ হচ্ছে জ্ঞান।
মহামহিম আল্লাহ্ তায়ালা সুযোগ দেন তার বান্দাকে। ইস্তিগফার ও তওবা দ্বারা আমরা বারংবার আল্লাহ্ তায়ালার দিকে ফিরে যাবার সুযোগ পাই। আল্লাহ্ তায়ালা তওবাকারীকে ভালবাসেন; খাঁটি তওবার দ্বারা বান্দা আল্লাহ্ তায়ালার নৈকট্য অর্জন করে থাকে। মুবারক রমযান মাস আসছে। আল্লাহ্ তায়ালা আমাদেরকে রমযানের পূর্বেই খাঁটি তওবা করে পবিত্র রমযানে প্রবেশের তৌফিক দিন!
নিজের ইচ্ছা ও আগ্রহ পূরণ করার নাম দ্বীন নয়; বরং দ্বীন হল আল্লাহ তাআলা ও তাঁর রাসূল ﷺ-এর আনুগত্য ও অনুসরণের নাম।
পৃথিবীতে যে একবার জন্মেছে তাকে হয় মরতে হয়েছে অথবা মরতে হবে। পৃথিবী ছেড়ে যে একবার চলে গিয়েছে সে কোন দিন ফেরৎ আসেনি। বুদ্ধিমান তাহলে কে? পার্থিব মোহে আচ্ছন্ন ব্যক্তি নাকি আখিরাতমুখী মানুষ?
সুস্থতা, ধন-সম্পদ, আয়-উন্নতি ও সামাজিক দাপট এগুলো আমাদের জন্য সবই পরীক্ষা। অসুস্থতা, দারিদ্রতা, অভাব-অনটন ও দুর্বলতা ; এগুলোও আমাদের জন্য সব পরীক্ষা। পার্থিব জীবনের এই অবস্থাগুলোর কোনটিই মানুষের ভাল বা মন্দ হওয়ার মাপকাঠি নয়।
গুনাহ্ হয়ে যাচ্ছে বলে ইস্তিগফার ও তওবা করা যেন বন্ধ না হয়ে যায়। ইস্তিগফার ও তওবার দ্বারা নেক আমলের স্পৃহা বাকি থাকে ও গুনাহ্ থেকে পরবর্তীতে বাঁচা সহজ হয়।
কোন কাজ শুরু করার জন্য মুহুর্তকাল অপেক্ষা না করে এক দিক থেকে শুরু করে দাও। অপেক্ষা শুধু পিছিয়েই দিবে..
যত বড় বিপদ ও বাঁধা আসুক না কেন, আন্তরিকভাবে দু’আ করলে আল্লাহ তায়ালার রহমত আকৃষ্ট হয়। অন্তরে শান্তি আসে, ফলাফল হয়ে যায় অনুকূল। সমগ্র জগত-টা যার তিনিই যদি সহায় হন, কোন বাঁধা-বিপত্তি, কষ্ট-ক্লেশ, অভাব-অনটন ও পেরেশানি বাকি থাকে না। আজ আমাদের সবরকম প্রচেষ্টাই অব্যাহত আছে – বরং বেড়ে চলছে, কিন্তু দু’ হাত তুলে সারা জাহানের মালিকের কাছে চাওয়ার প্রচেষ্টা হ্রাস পেয়েছে খুবই!
হেদায়েত তথা সত্যানুসন্ধানের জন্য চাই নিজের মাঝে তৃষ্ণা সৃষ্টি করা। আমরা যদি প্রতিদিন কুরআন তেলাওয়াত করি, হাদীস থেকে কিছু পড়ি এবং পাশাপাশি দ্বীনি বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলি, দেখবেন এটা সহজ। আমাদের অন্তরে হেদায়েতের তৃষ্ণা সৃষ্টি হবে ইনশাআল্লাহ। নিয়মিত হলে, তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকবে ইনশাআল্লাহ। বান্দার কাজ বীজ বপন করা। গাছ গজানো ও ফল ধরানো আল্লাহ তা’আলার কারিশমা।
হযরত উমর রা. এর ভাষ্যঃ আখেরাতে মীযানে তোমার আমল ওজন হওয়ার আগে দুনিয়াতে নিজেই নিজ আমলের হিসাব করে নাও।
মানুষ জানে না কোন্ অবস্থা তার জন্য কল্যাণকর ও কোন্ অবস্থা অকল্যাণকর। তাই ঈমানদার তার সব বিষয় আল্লাহ পাকের সোপর্দ করে দেয়। এতে তার অন্তরে অনাবিল শান্তি বিরাজ করে।
দ্বীনের পথে অগ্রসর হওয়ার সবচেয়ে সহজ ও সংক্ষিপ্ত পথ সুন্নত। অথচ সবচেয়ে পরিপূর্ণ (কামেল) ও মকবূল পথ এটিই।
সুখে-দুখে — সবসময়ে আমাদের উচিত দুআ জারি রাখা। বান্দা নিজের মুখাপেক্ষিতাকে আল্লাহ তা’আলার কাছে প্রকাশ করবে। আবেদন-নিবেদেন করবে। এটা বান্দার কাজ। কবুল করার মালিক আল্লাহ পাক। বান্দার জন্য কখনোই শোভনীয় নয় যে সে দুআ থেকে গাফেল থাকবে।
আজ আমরা আল্লাহ তাআলা’র উপর ভরসা হারিয়ে ফেলতে বসেছি! যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং সব প্রয়োজন পূরণ করছেন, তাঁকে ভুলে গিয়ে আমাদের চেষ্টা-তদবীর অন্য পথে। উচিত তো হল, তাঁর উপরই পূর্ণ ভরসা করে তাঁর আদেশ-নিষেধের সীমার মধ্যে চেষ্টা করা।
ধন-সম্পদের প্রাচুর্য এবং বিলাসবহুল ঘরবাড়ি প্রকৃত আরামের উৎস নয়। আরাম নিহীত থাকে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার স্মরণের মধ্যে জীবন যাপনে। সুলায়মান দারানী রহ.
নিজের অভিমতটা যতই যথার্থ হোক না কেন, তারপরও তা পরামর্শের মুখাপেক্ষী থেকে যায়। সে কারণেই অভিজ্ঞজনদের পরামর্শ ব্যতীত শাসন কার্য পরিচালনা করা বৈধ নয়। আমীরুল মুমিনীন উমর رضي الله عنه
কারো কাছে ঈমানের বাস্তবতা সে পর্যন্ত উন্মোচিত হয় না যে পর্যন্ত গরিবী প্রাচুর্যের তুলনায় কাম্য না হবে এবং প্রশংসা ও তিরস্কার একই রকম অনুভুত না হবে। আমীরুল মুমিনীন উসমান رضي الله عنه
ক্ষুধা-তৃষ্ণার জ্বালা সহ্য করার মাধ্যমে অন্তরের পরিচ্ছন্নতা অর্জিত হয়। তৃপ্তির আহার আত্মাকে অন্ধ করে দেয়। শায়খ আবু সুলায়মান দারানী رحمة الله عليه
এমন কথা বলো না যা কিনা যাদের লক্ষ্য করে বলা হচ্ছে, তাদের বুঝতে কষ্ট হয়। উসমান رضي الله عنه