শিশু জন্মের পর সুন্নত সমূহ
জন্মের পর আযান ইক্বামত
জন্মের পর শিশু সম্পর্কীয় সর্বপ্রথম বিধান হলো তার ডান কানে আযান এবং বাম কানে ইক্বামত বলা। হযরত হাসান (রা.)-এর জন্মের পর রাসূল ﷺ তার কানে আযান ইক্বামত বলেছিলেন। (আবু দাউদ, তিরমিযী)
তিনি নবজাতকের কানে আযান-ইক্বামত বলার নির্দেশও প্রদান করেছেন। (বায়হাকী)
শিশুর কানে আযান-ইক্বামত বলার উদ্দেশ্য হলো, তার কানে যেন আল্লাহ তা’আলার মহত্ব ও বড়ত্বের আওয়াজ প্রথমেই পৌঁছে যায়। মানুষের কানে ও অন্তরে শয়তানের কথা পৌঁছার পূর্বেই যেন ইসলাম ও হেদায়াতের বাণী পৌঁছে যায়।
তাহ্নীক
তাহ্নীক অর্থ খেজুর চিবানো। পরিভাষায় তাহ্নীক বলা হয়, শিশুর জন্মের পর কোন বুযূর্গ ও নেককার ব্যক্তি খেজুর বা কোন মিষ্টান্ন চিবিয়ে মুখের লালাসহ বাচ্চার মুখের ভিতরে ডান বা বাম তালুতে লাগিয়ে দেওয়া। তাহ্নীকের উদ্দেশ্য হলো, বরকত অর্জন। মানুষ বা পশুর মুখের লালায় বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন উপকার অপকারের মাধ্যম হয়ে থাকে। এ দ্বারা চরিত্রের ছাপও পড়ে। এজন্য যেসব পশুর লালা নাপাক, সেগুলো খেতে নিষেধ করা হয়েছে। আর যেসব পশু হিংস্র সেগুলোর লালা নাপাক আখ্যায়িত করা হয়েছে। যেমন বাঘ, সিংহ, শূকর ইত্যাদির লালা।
নেককার ব্যক্তির তাহ্নীকের মাধ্যমে বাচ্চার সুন্দর চরিত্র ও দ্বীনদারী সৃষ্টির আশা রয়েছে।
তাহ্নীক রাসূল ﷺ থেকে প্রমাণিত। হযরত আবু মূসা আশআরী নিজ পুত্রকে রাসূল ﷺ-এর খেদমতে নিয়ে আসলে রাসূল ﷺ তাকে খেজুর দ্বারা তাহ্নীক করলেন এবং তার নাম রাখলেন – ইব্রাহীম। আর শিশুটির জন্য বরকতের দু’আ করলেন। (বুখারী)
হযরত আবু তালহা (রা.)-এর শিশু পুত্রকেও রাসূল ﷺ তাহ্নীক করেছিলেন এবং তার নাম রেখেছিলেন আবদুল্লাহ। (বুখারী)
সংকলিত হয়েছে হালাল ও হারাম (এমদাদিয়া লাইব্রেরী) বইটি থেকে, মূল লেখক: মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ্ রাহমানী (দা: বা:)