শবে বরাত: করণীয় ও বর্জনীয় – ২
১৫ই শাবান দিনে রোযা সংক্রান্ত একটি দুর্বল হাদীস থাকলেও, আইয়্যামে বীজের রোযা হওয়ার কারণে ও শাবানে প্রিয় নবীজি ﷺ বেশি বেশি রোযা রাখতেন – সহীহ হাদীসে আছে, তাই ১৫ই শা’বান রোযা রাখা নিষেধ নয়। এতটুকু সতর্ক করা হয় যে, এ তারিখের রোযাকে ১৫ই শাবানের সাথে বিশেষভাবে সম্পৃক্ত না করা অর্থাৎ যেন এঁকে ‘শবে বরাতের রোযা’ হিসেবে আখ্যা দেয়া না হয়। কোন কোন উলামায়েকেরাম এ তারিখের সাথে এক/দু’দিন মিলিয়ে রোযা রাখাকে পছন্দ করেন। তাতে অন্য কোন সন্দেহ থাকে না।
শবে বরাতের আরেক প্রান্তিকতা হল অতিরঞ্জন, নানান রেওয়াজ-রসম অনুসরণ। দ্বীনের মধ্যে মনগড়া বিষয়ের কোন স্থান নেই। শবে বরাতকে কেন্দ্র করে মিষ্টি-হালুয়া খাওয়া বা বিতরণ, আতশ-বাজি ফুটানো, সুনির্দিষ্ট একটি নিয়ম বানিয়ে নামায পড়া (যার কোন প্রমাণ নেই), মসজিদ ও কবরস্থানে অহেতুক ভিড় করা – এগুলো সবই মনগড়া কাজ, তাই পরিত্যাজ্য। কবরে বাতি জ্বালানো, ফুল দেয়া, গোলাপ-জল ছিটানো তো কখনোই জায়েজ নয়, শবে বরাতে জায়েজ হবে কিভাবে?
দুনিয়ার ক্ষেত্রে যিনি যে বিষয়ে বিজ্ঞ সে বিষয়ে তার অনুসরণ করা হয়। তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা হয়। তার কথা বিনা বাক্যে মানা হয়। কিন্তু দ্বীনি বিষয়ে আমাদের মন-মস্তিষ্ক যেন একটু বেশি সজাগ হয়ে যায়! শয়তান সেই সুযোগেই থাকে, আমাদের আক্বীদা ও আমল নষ্ট হয়। দ্বীনি বিষয়ে অভিজ্ঞ আলেম থেকে জেনে শরীয়তে নির্দেশিত আমল করা জরুরী। আল্লাহ আমাদের সবাইকে মনগড়া বিষয়ে আমল করা থেকে হেফাজত করুন (আমীন)।
শবে বরাত সম্পর্কে একটু বিস্তারিত এবং খুবই যুগোপযোগী একটি প্রবন্ধ পড়ুন:
এই অপূর্ব প্রবন্ধটির English Translation পাবেন এখানে