Dark Mode Light Mode

যুলহিজ্জার প্রথম দশক: আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্ট করার বিরাট সুযোগ

হাদীসে পাকে এসেছে, যুলহিজ্জার প্রথম দশ দিনের আমল (সারা বছরের মধ্যে) আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে প্রিয় (বুখারী)। এক বর্ণনা অনুযায়ী তা এই সময়গুলোতে জিহাদরত ব্যক্তির জিহাদের আমল থেকেও উত্তম। কেবল ঐ জিহাদকারী বেশি উত্তম যে কিনা (এ সময়ে) জিহাদে তার জান ও মাল নিয়ে বের হয়ে সবই আল্লাহর পথে বিসর্জন দেয় (বুখারী)।

উলামায়ে কেরামের মতে, রমযানের শেষ দশকের রাতের ইবাদত যেমন সারা বছরের রাতের ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, যুলহিজ্জার প্রথম দশকের দিনের ইবাদত সারা বছরের দিনের ইবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।

সেজন্য এখন যে দিনগুলো অতিবাহিত হচ্ছে অর্থাৎ যুলহিজ্জার প্রথম দশক — কুরবানির প্রথম দিন (১০ই যুলহিজ্জা) পর্যন্ত — এ সময়টিতে সাধ্য অনুযায়ী নেক কাজ বৃদ্ধি করুন! কমপক্ষে ৯ই যুলহিজ্জাতে আরাফার রোযা রাখুন ইনশাআল্লাহ। অনেক বেশি সৌভাগ্যেবান তারা যারা কিনা যুলহিজ্জার প্রথম নয় দিনই রোযা রাখেন (হাদীস অনুযায়ী প্রতিটি রোযায় এক বছর রোযার সাওয়াব)!

আল্লাহ তাআলার কাছে এ সময়টির নেক আমল অত্যন্ত প্রিয়।

সেজন্য আমাদের করণীয়: উঠতে বসতে চলতে ফিরতে যিকির-দোআ-দরূদ শরীফ পাঠ করা (যখন যেটি করা সম্ভব)। এছাড়া কুরআন তেলাওয়াত, নফল নামায, দান-সদকা, বৃদ্ধি করা উচিত। আর কুরবানির দিনগুলোতে শ্রেষ্ঠ ইবাদত হল কুরবানি! সবকিছু করব আমরা কেবলই আল্লাহ তাআলাকে সন্তুষ্টির লক্ষ্যে। এসব আমলের মাধ্যমে হজ্জে গমণকৃত হাজী সাহেবানদের সঙ্গে আমাদের মিল হবে, যা কিনা অশেষ রহমতের কারণ হবে ইনশাআল্লাহ।

এ মাসটি তো হাদীস অনুযায়ী, পবিত্র চার মাসের অন্তর্ভুক্ত। এ পবিত্র সময়টিতে আন্তরিক তওবা করে আমরাও পবিত্র হয়ে যাই ইনশাআল্লাহ।

এই ফযিলতপূর্ণ দিনগুলো জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিশেষভাবে স্মরণ করার সময়।

‘আগামীকাল করব’ বলে জরুরি কাজ ফেলে রাখা বোকামি। যেহেতু মৃত্যুর কোনো বয়স ও ঠিক-ঠিকানা নেই, গুনাহ করে তওবা করতে বিলম্ব করা অনুচিত। এখনই তওবা করতে হবে। খাঁটি ভাবে তওবা করি ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ তাআলা সুযোগ দিচ্ছেন। হায়াত থাকতেই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। তিনি কোন্ বাহানায় আমাদের ক্ষমা করে দেবেন আমরা তা জানি না।

আমাদের সকল আপডেট পেতে সাবস্ক্রাইব করুন!

By pressing the Subscribe button, you confirm that you have read and are agreeing to our Privacy Policy and Terms of Use
Add a comment Add a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Previous Post

হজ্জ হোক মকবুল ও প্রভাব সৃষ্টিকারী

Next Post

আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না