ফেতনার যুগ সম্পর্কে আহাদীস: চিন্তার আছে অনেককিছু
প্রায় দেড় হাজার বছর আগে আমাদের সর্দার, প্রিয় নবীজি ﷺ ভবিষ্যতে কী কী ঘটবে, যা যা বলে গেছেন, তার পরিমাণ অনেক। মুফতী তাকী উসমানী, আল্লাহ তাআলা উনার ছায়া আমাদের উপর দীর্ঘায়িত করুন, -এর একটি বই ‘যিকর্ ও ফিকর্’ থেকে শুধু কয়েকটি ভবিষ্যতবাণী তুলে ধরা হলো:
সময় দ্রুত অতিক্রান্ত হবে (অর্থাৎ, বড় বড় বিপ্লব দ্রুত সংঘটিত হবে)
হত্যা ও লুন্ঠন তীব্র হবে।
সন্তান (-এর চাহিদার পরিবর্তে তা) অবাঞ্ছিত মনে করা হবে।
বৃষ্টিতে শীতলতার পরিবর্তে গরমের কষ্ট অনুভূত হবে।
অনাত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা হবে এবং আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে।
মসজিদের মিহরাবসমূহ কারুকার্য দ্বারা খচিত হবে, কিন্তু মানুষের অন্তর হবে বিরান।
গান-বাজনার ব্যাপক প্রচলন হবে এবং শরাব পান করা হবে।
তালাক ও আকস্মিক মৃত্যু বৃদ্ধি পাবে।
মসজিদে মসজিদে দুষ্টু লোকদের আওয়াজ উঁচু হবে।
এমন সব লোক জন্ম নিবে, যারা সাক্ষাতের সূচনাই করবে (সালামের পরিবর্তে) গালি ও অভিশাপ দ্বারা।
ইয়াহুদী-নাসারাদের পরিপূর্ণ অনুকরণ করা হবে।
সাধারণ অযোগ্য মানুষ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহে মতামত প্রদান করবে।
সৎকাজ হ্রাস পাবে।
ঘাতক নিজেও জানবে না যে, সে কেন হত্যা করছে? আর নিহত ব্যক্তিও জানবে না যে, তাকে কেন হত্যা করা হচ্ছে?
মানুষ মানব-প্রাণের কোনই মূল্য দিবে না এবং উঁচু উঁচু ভবন নির্মাণ করবে।
মানুষ পিতার অবাধ্য হবে, মার সাথে রূঢ় আচরণ করবে, বন্ধু ক্ষতি করবে এবং স্ত্রীর আনুগত্য করবে।
শেষ জমানার লোকেরা উম্মতের প্রথম জমানার লোকদের ভর্ৎসনা করবে।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: ইসলাম ও আমাদের জীবন (যিকির ও ফিকির-এর বাংলা অনুবাদ), মাকতাবাতুল আশরাফ