পার্থিব সব উপার্জন যাদের ব্যর্থ ও পন্ড
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُمْ بِالْأَخْسَرِينَ أَعْمَالًا-الَّذِينَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ يُحْسِنُونَ صُنْعًا أُولَئِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِ رَبِّهِمْ وَلِقَائِهِ فَحَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فَلَا نُقِيمُ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَزْنًا-
কাহাফ: ১০৩-১০৫ ।
অর্থ: বলুন, আমরা কি তোমাদের বলে দিব কর্মফলে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত কারা? তারা, যাদের পার্থিব-জীবনের চেষ্টা বৃথা হয়ে গেছে, অথচ তারা মনে করে তারা সফল হচ্ছে। তারা হল ঐসব লোক যারা তাদের রবের নির্দশনসমূহ এবং তাঁর সাথে সাক্ষাৎ অবিশ্বাস করেছে, তাই তাদের আমলসমূহ বৃথা এবং কিয়ামতের দিন তাদের পক্ষে কোন ওজন নেই।
উপরোক্ত আয়াতগুলোতে আল্লাহ তাআলা সুস্পষ্টভাবে অবিশ্বাসীদের পরিচয় তুলে ধরেছেন। আল্লাহ তাআলার নাফরমানি করেও যদি কেউ দুনিয়ার জীবনের অর্জনকে সফলতা, প্রাপ্তি, সঞ্চয় মনে করে – সে ব্যর্থ মনোরথ হবে। তার কর্মকান্ড এবং আমল ও উপার্জন পরকালে কোন কাজে আসবে না। আর কেউ যদি মৃত্যু-পরবর্তী জীবন, অর্থাৎ আখেরাতে চির-শাস্তির যোগ্য হয়, তার চেয়ে অধিক ব্যর্থ আর কে?
সাধারণ থেকে সাধারণ মানুষ যে কিনা ঈমান নিয়ে দুনিয়া ত্যাগ করবে সে যেমন ভাগ্যবান, জনপ্রিয় ও খ্যাতনামা ব্যক্তি যদি ঈমানবিহীন দুনিয়া ত্যাগ করে সে হতভাগ্য। আয়াতে কারীমা অনুযায়ী, কর্মফলে সে ‘সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত’। একটু চিন্তা করুন! এমন কত শত ব্যক্তির নাম আজ আমরা প্রত্যেকেই জানি, যাদেরকে দুনিয়াবাসী কত উপাধি ও পুরুস্কারে ভূষিত করেছে। কিন্তু তাদের আসল জিনিসই ছিল না। সে অবস্থায় তারা কবরে চলে গেছে। তাদের এত বাহবা আর উপার্জন যখন আখেরাতে নিষ্ফল প্রমাণিত হবে, আফসোসের কী অবস্থা প্রকাশ পাবে?!
আল্লাহ তাআলা তাঁর পথেই আমাদেরকে অবিচল রাখুন ও মৃত্যু দান করুন। আমীন।