উপলক্ষ ও সংস্কৃতি

দ্বীনকে বিকৃত করে পালন: চরম ধৃষ্টতা ছাড়া আর কিছু নয়

বার বার কথাটি শুনে থাকি। অনেকে নিজেরাও বলেও থাকি। কিন্তু কানে পড়লেও অন্তরে দাগ কাটছে না। কারণ মনে হয় এটাই যে, অন্তর দিয়ে শুনছি না। তাই ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ উদযাপন করছি। [আবার নিজেরও জন্মদিন, বিবাহ-বার্ষিকী পালন করছি মহা আনন্দে]। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যুক্তি দিচ্ছে যে, এ ধরণের কোনো ‘ঈদ’ ইসলামে না কোনোদিন ছিল, না কখনো গৃহিত হতে পারে। তাও সুস্পষ্ট কুরআন ও সুন্নাহভিত্তিক, অর্থাৎ, শরঈ (শরিয়তভিত্তিক) যুক্তি দেওয়া হচ্ছে। মিলাদুন্নবী শরিয়ত অনুমোদিত ঈদ নয় — ব্যাখ্যা দিয়ে বোঝানো হচ্ছে নানাভাবে। কিন্তু আমাদের কতক ভাই/বোন, তাদের অবস্থা কেমন? যেটা বুঝেছে সেটাই ধরে বসে আছে। এটা ক্ষতি। বরং এটা অনেক বড় ক্ষতি। রাসূল ﷺ এর ভালোবাসা প্রকাশের জন্য ‘যা মনে ইচ্ছা জাগে সবকিছু’ করতে থাকলে তো সীমালঙ্ঘনকারীই হয়ে গেলাম। যেখানে আল্লাহ পাকের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশটি বিধি-বিধান অনুযায়ী হওয়া জরুরি, সেখানে রাসূল ﷺ এর ভালোবাসা প্রকাশের বিষয়টি আমরা নিয়মনীতি বহির্ভূত বানিয়ে ফেললাম কিসের ভিত্তিতে!? এ আবেগ ও কাজ আসলে মারাত্মক অন্যায়।

ইসলামে জন্মদিন, জন্মবার্ষিকী, মৃত্যু-দিন, মৃত্যু বার্ষিকীর কোনো বিধান নেই। একজন সাধারণ থেকে সাধারণ মুসলমান এটা জানে। তারপরও এসবকে জীবনের সাথে সম্পৃক্ত করা এবং এগুলো পালন করা হচ্ছে। কারণ কুরআন-সুন্নাহর শিক্ষা থেকেই বের হয়ে গিয়েছি, কুরআন-সুন্নাহ পালন তো পরবর্তী ধাপ। এখন কেউ কেউ এ কথাও বলতে চায় রাসূল ﷺ এর জন্মদিন সীরাত-হাদীসের মাধ্যমে প্রমাণিত।

দ্বীনকে বিকৃত করার মত জঘন্য কাজ করেছে ইয়াহুদী ও খ্রিস্টান জাতি। তাদের কথা উল্লেখ করে সূরা ফাতেহাতে স্পষ্ট আছে, আমরা আশ্রয় চাই তাদের পথ থেকে যারা গযবপ্রাপ্ত এবং পথভ্রষ্ট। এভাবে দোআ করা প্রতিটি মুমিন-মুমিনার জন্য প্রতি নামাযের প্রতি রাকআতে ওয়াজিব করে দেওয়া হয়েছে। এখন আমরা যদি বলি, না – অমুক অমুক বিষয়ে আমরা ইয়াহুদী বা খ্রিস্টান জাতিকে অনুকরণ করলে ক্ষতি নেই। এমন কথা স্রেফ বলাটাই কত বড় অন্যায়। আর যদি তাদেরকে অনুকরণ করে ফেলি তাহলে সেটা কত বড় ধৃষ্টতা হবে?!

Last Updated on February 28, 2023 @ 9:59 am by IslamInLife

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: you are not allowed to select/copy content. If you want you can share it