দোআ: আল্লাহ তাআলার অশেষ নেয়ামত
আল্লাহ তাআলা উনার দানকে প্রশস্ত করেছেন। আমরা কেন আমাদের চাওয়াকে সংকীর্ণ করব? আল্লাহ তাআলা স্বয়ং উনার কাছে চাইতে বলছেন। আমরা কেন তাঁর কাছে চাব না?
দোআ হল ইবাদতের সার ও মুমিনের হাতিয়ার। দোআ’র মাধ্যমে বান্দা আহকামুল হাকিমীনের কাছে চায়, তাঁর সাথে কথা বলে, তাঁর সাথে সম্পর্ক জুড়ে। দোআ করতে কার্পণ্য করা অর্থ হবে নিজেকে নিজেই বঞ্চিত করা।
আজ আমরা আল্লাহ’র কাছে চাইতে ভুলে বসেছি। আমাদের মন দোআয় লাগে না। কদাচিৎ লাগলেও তা স্থায়ী হয় না। দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নিয়ে দোআ করি। হাত তুলছি, কার কাছে তুলছি, কেন তুলছি যেন জানা নেই! কেমন যেন অন্যমনস্ক। কী যেন একটা বাঁধা।
আমাদের সব প্রয়োজন পূরণের মালিক আল্লাহ তাআলা। তাঁর কাছে চাওয়া উচিত সবকিছু। জাগতিক ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র জিনিস থেকে নিয়ে আখেরাতের প্রতিটি ঘাঁটিতে যেন মুক্তি মিলে সব চাব আল্লাহ’র কাছে। অত্যন্ত জামে’ তথা ব্যাপক-অর্থবোধক শব্দে কুরআন-হাদীসে কত দোআ শেখানো হয়েছে! সবই আমাদের সামনে। কিন্তু আমরা যেন সেগুলোর সামনে নয়! দেখুন কী আশ্চর্য এক দোআ করেছেন নবী সুলাইমান আলাইহিস সালাম:
رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ
وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ
অর্থ: হে আমার রব! আপনি আমাকে তৌফিক দিন, যাতে আমি আপনার নেয়ামতের শোকর আদায় করতে পারি, যা আপনি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে দান করেছেন এবং যাতে এমন সৎকর্ম করতে পারি, যা আপনি পছন্দ করেন, আর আমাকে নিজ দয়ায় আপনার নেক বান্দাদের মধ্যে শামিল করুন। (সূরা:নামল্-১৯)