আরাফার রোযা: রাখবেন ইনশাআল্লাহ্
আবু কাতাদা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বলেছেন (অর্থ): আরাফার দিনের রোযার ব্যাপারে আমি আশা করি যে, আল্লাহ্ তাআলা এর দ্বারা পরবর্তী এক বছর ও পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহ্ মাফ করে দিবেন। (তিরমিযী)
জরুরী দ্রষ্টব্য: মনে রাখতে হবে যে, আরাফার দিন (৯ই যুলহিজ্জা) – যা আসলে হজ্জের দিন – রোযা রাখার এই ফজীলত এবং এর প্রতি উৎসাহ দান হজ্জ পালনরত ব্যক্তি ছাড়া অন্যদের জন্য। হাজীদের জন্য এ দিনের বিশেষ ও শ্রেষ্ঠ ইবাদত হচ্ছে আরাফায় অবস্থান, যার জন্য যোহর ও আসরের নামায এক সাথে এবং কসর করে পড়ে নেওয়ার নির্দেশ এসেছে এবং যোহরের সুন্নতও সে দিন ছেড়ে দেওয়ার হুকুম হয়েছে। এই দিন যদি হাজী সাহেবান রোযা রাখেন, তাহলে তাদের জন্য আরাফায় উকূফ, অর্থাৎ, আরাফায় অবস্থান করা এবং সূর্যাস্তের সাথে সাথে মুযদালিফায় রওনা হয়ে যাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়বে। এ কারণে হাজীদের জন্য আরাফার দিন রোযা রাখা পছন্দনীয় নয়; বরং এক হাদীসে এর প্রতি নিষেধাজ্ঞায় এসেছে। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ্ ﷺ বিদায় হজ্জে নিজের আমল দ্বারাও এ শিক্ষাই উম্মতকে দিয়েছেন। এক হাদীসে এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ্ ﷺ আরাফার দিন ঠিক ঐ সময়ে যখন তিনি উটের উপর সওয়ার ছিলেন এবং উকূফ করছিলেন – সবার সামনে দুধ পান করে নিলেন, যাতে সবাই দেখে নেয় যে, তিনি আজ রোযা রাখেন নি।
হাজী ছাড়া অন্যদের জন্য আরাফার দিনের রোযাটি প্রকৃতপক্ষে ঐ দিনের ঐসব রহমত ও বরকতে অংশ গ্রহণ করার জন্য হয়ে থাকে, যা আরাফার ময়দানে হাজীদের উপর অবতীর্ণ হয়।
যে ব্যক্তি পৃথিবীর যেইখানে আছে বা অবস্থান করছে, সে ঐ স্থানের ৯ই যুলহিজ্জায় (অর্থাৎ, কুরবানীর ঈদের আগের দিন) আরাফার রোযা রাখবে।