অন্যের জন্য তা-ই চাওয়া যা নিজের জন্য চাই
মুসলমান। একজন মুসলমানকে আল্লাহ তাআলা কত গুণ দিয়েছেন!
গুণগুলির মাঝে এক অমূল্য গুণ এও যে, তার ভাইয়ের জন্য সে তাই পছন্দ করবে যা নিজের জন্য করে। মুসলমানের উত্তম নমুনা প্রিয় নবীজি ﷺ এবং তাঁর প্রিয় সাহাবায়েকেরাম রা.।
সাহাবায়েকেরাম রা. এর মুজাহাদা ও কুরবানী প্রিয় নবীজি ﷺ-এর নূরানী সুহবতের ফলে অতুলনীয় ও সবচেয়ে উন্নতমানের ছিল। তাদের তাকওয়া, যুহদ ও ইখলাসের বরকত আজও উম্মত পাচ্ছে, কেয়ামত পর্যন্ত পাবে ইনশাআল্লাহ। যারা মৃত্যু মুহূর্তেও নিজ ভাইকে পানি দানে সামান্য ইতস্তত করেননি, তাদের কষ্ট ও ত্যাগ কিভাবে ইতিহাস লিখবে? তাও লিখতে হয়েছে, লিখেছে। লিখে শেষ পর্যন্ত শেষ করার ভাষা পায়নি বলে কেউ এমন বলেই ইতি টেনেছেন, ‘….বাকিটা হাশরের দিন সাহাবীদের (রা) সাথে আল্লাহ তাআলার অতি উত্তম ব্যবহার দেখেই বুঝে নিও তাদের মর্যাদা!’
আমরা সেই অতি পবিত্র আত্মার অধিকারী সাহাবায়েকেরাম-গণেরই (রা) উত্তরসুরী। আমাদের মাঝে বেশি নয়, (ঈমানের পর) তাদের মধ্যে বিদমান সকল গুণগুলোর মাত্র একটি গুণও যদি যথাযথভাবে অর্জনের প্রচেষ্টা ও প্রয়াস থাকে তবুও আশা করা যায় যে আল্লাহ তাআলার কাছে নাজাতের বাহানা-রূপে সেটা পেশ করা যাবে!
এই যে ‘নিজের জন্য যা চাই – অন্যের জন্যও সেটা চাওয়া’ এটা সাহাবাকেরামের কত মহৎ এক গুণ! আমাদের উচিত এই গুণটি অর্জনের চেষ্টা করা। দেখবেন এর ফলে প্রতিদিনের কত কলহ, কত সমস্যা এমনিতেই মিটে যাচ্ছে! হোক না মনে একটু কষ্ট। অন্তর না-ই চাক। তবু নিজ ভাইকে সাধ্যমত আমরা সাহায্য করব, তাকে উত্তমটা দেব, কোন ভুল হয়ে গেলে তাকে ক্ষমা করব। এক তো হল, দুনিয়াতে এর বহুমুখী ফায়দা। আরেক হল আখেরাতে সেটার বিনিময়ে চিরকালীন পুরুষ্কার। এই সুন্নতের উপর আমল করার অভ্যাস করতে পারলে তো সিদ্দীক হিসেবেও আল্লাহ আমাদের কবুল করতে পারেন!