অনুপ্রেরণামুলক

অন্তিম শয্যায় শেষ উক্তি-২

ইমাম গাযালী رحمة الله عليه [ইন্তেকাল: ৫০৫ হি:]

আধ্যাত্মবাদী দার্শনিক। যুগশ্রেষ্ঠ লোকশিক্ষক। বহুগ্রন্থ প্রণেতা ও চিরস্মরণীয় পথপ্রদর্শক। নাম, মুহম্মদ আবু হামেদ। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওজু করে, নামায সেরে, কাফন সংগ্রহ করে বললেন — “মালিকের ইচ্ছা নতশিরে মেনে নিলাম।” অতঃপর সোজা হয়ে শুয়ে চোখ বন্ধ করে দেন। আত্মা দেহত্যাগ করে অনন্তলোকের পথে ধরে।

শায়খ ফরিদউদ্দিন মাসউদ গঞ্জশকর رحمة الله عليه [ইন্তেকাল: ৬৬৬ হি:]

সূফী বুজুর্গ। বৃদ্ধ বয়সে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েন। জ্বর ও দুর্বলতার দরুন এক রাতে অজ্ঞান হয়ে যান। এশা আগেই পড়েছিলেন, কিন্তু মনে না থাকায় আবারও নামাযে দাঁড়ান। কিন্তু অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গেলে শুয়ে শুয়ে — “ইয়া হাইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুম বি রাহমাতিকা আস্তাগীস…..” পড়তে থাকেন। এক সময় মরণ এসে তার ঠোঁট নিথর করে দেয়।

হাবীব আজমী رحمة الله عليه [ইন্তেকাল: ৭৭২ হি:]

সাধক পুরুষ ও সাহেবে কারামত ছিলেন। শেষ জীবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হন।। একদিন চার পাঁচ ঘন্টা যাবত অস্বস্তি বোধ করে সন্ধ্যায় অজ্ঞানের মত হয়ে যান। “আল্লাহু রাব্বী” (আল্লাহ আমার রব) ছাড়া আর কোনো কথাই বলতেন না। একটু পরে জ্ঞান ফিরে আসলে একজন আত্মীয়কে কাছে ডেকে বললেন — “শাগরেদদের বলে দিও যে, রাতের বেলা তারা যখন ঘুমুতে যায় তখন যেন সারা দিনের আমলের হিসাব মিলিয়ে নেয়। নেক আমলের পরিমাণ কত আর বদ আমলের পরিমাণ কত।”

এ কথা শেষ করে কালেমা পাঠ করে তিনি চির নিদ্রায় মগ্ন হয়ে পড়েন।

‘অন্তিম শয্যায় খ্যাতিমানদের শেষ উক্তি’ (মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী) বইটি থেকে সংকলিত। প্রকাশনী: দারুল কিতাব।

Last Updated on September 14, 2022 @ 11:53 am by IslamInLife

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: you are not allowed to select/copy content. If you want you can share it