চিন্তার খোরাক​

সাধনা করে জীবন গড়তে হবে

একটু সাধনা করে জীবনে ভালো অভ্যাস গড়ে তুলতে হয়।

দেখবেন যারা চাকুরি করে ডিউটিরত অবস্থায় তাদের কত নিয়ম-কানুন মানতে হয়। চাকরিতে নিয়োগের শুরুতেই আবদ্ধ হতে হয় চুক্তিতে। তারপর প্রতিদিন অফিসে ঢোকার সাথে সাথেই বিশেষ কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। একজন চাকুরিজীবি এইসব নিয়ম মানার অভ্যাস করে নেয়। চাকরি ও অফিসের পরিবেশ-পরিস্থিতি মেনে নিতে প্রথম প্রথম তার কষ্ট হয়। কিন্তু কিছুদিন মেনে চলার পর – এখন সেগুলো করা সহজ হয়ে গেছে। এক পর্যায়ে অবস্থা এমন হয় যে, অন্য কেউ যদি অফিস/চাকরির নিয়ম বহির্ভূত কোনো কাজ করে, সে পাল্টা বাঁধা দেয়। বলে যে, না এখানে এমন কথা বলা যায় না বা এমন কাজ করা যায় না। বসের ভয় বলুন, চাকুরি চলে যাওয়ার ভয়ে বলুন অথবা কাজের প্রতি তার বিশেষ কোনো আগ্রহ বা আকর্ষণের কারণে – যেটাই বলুন, একটা ‘অভ্যন্তরীণ কিছু’ কাজ করেছে তার মধ্যে। সেজন্যই সে নিয়ম মেনে চাকরি করে যাচ্ছে। মাসের শেষে ঠিক-ঠাক বেতন পাচ্ছে।

দুনিয়াতে সবকিছুই আল্লাহ পাকের গোলামি বা বন্দেগির সাথে সংশ্লিষ্ট। এখানে সব কাজেই এক আল্লাহর নিয়ম মেনে চলা আমাদের দায়িত্ব। আল্লাহ তাআলা আমাদের সেই নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা তাঁর কাছে চুক্তিবদ্ধ, দায়বদ্ধ। তাঁর আদেশ-নিষেধ মানার বিষয়টি হল সবকিছুর ঊর্দ্ধে। চাকরি রক্ষার জন্য যে চেষ্টা-সাধনা, নিজেকে বাধ্য করে প্রতিকূল পরিবেশ ও বসকে মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তোলা – এগুলোর থেকেও বহুগুণ জরুরি এবং মূল দায়িত্ব হল স্রষ্টাকে মানা, তাঁর নির্দেশকে সর্বোচ্চ বিশ্বাস করে তাঁর ইবাদতে পরিপূর্ণভাবে নিবেদিত হওয়া।

চাকুরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কষ্ট করা হয়েছে, এতে অভ্যাস বদলে গেছে। সকালে ঘুম নেই, সময়মত খাওয়া নেই, মন চাচ্ছে না – তবু কাজে ছুটতে হচ্ছে। কত রকম অভ্যাস অভ্যাসে নিজেকে আমরা অভ্যস্ত করে নিচ্ছি।

একই ভাবে আমাদের সামগ্রিক জীবনে ক্ষেত্রগুলো একটু কষ্ট করলে অভ্যাস ইতিবাচকভাবে বদলে যাবে।

আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে জীবনের সামগ্রিক ক্ষেত্রে একটু কষ্ট করে দেখুন! পার্থিব-পরকালীন সবকিছুই সুন্দর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। লাভতো ষোল আনা বান্দারই!

Last Updated on February 21, 2023 @ 12:43 pm by IslamInLife

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: you are not allowed to select/copy content. If you want you can share it