তওবা-ইস্তেগফার

গুনাহ থেকে বাঁচার প্রচেষ্টা হোক মূখ্য

নফল একেবারেই না হোক…অসুবিধা নেই। কিন্তু আল্লাহ তাআলার নাফরমানি থেকে যত্ন সহকারে বাঁচতে হবে। গুনাহের ফাঁদে পড়লে তাৎক্ষণিক তওবা করতে হবে। হতোদ্যম হওয়া, নিরাশ হওয়া চলবে না।

একজন মুত্তাক্বী তথা তাকওয়াধারী যিনি হবেন, তার বৈশিষ্ট্য হল, গুনাহ থেকে বাঁচার প্রতি সে সর্বোচ্চ যত্নবান হবে; নফল ইবাদত কম হোক বা না-ই হোক। আর গুনাহ থেকে সাধ্য অনুযায়ী বেঁচে থাকার প্রচেষ্টার পাশাপাশি যখন নফল ইবাদত করা হবে, তখন তো সোনায় সোহাগা!

আমরা অনেকেই সারা বছর আল্লাহ তাআলার বিভিন্ন নাফরমানিতে কাটাই। নামাযও পড়ি, তেলাওয়াত, তাসবীহ-ও করি। দান-সাদকাও করি। এরকম আরো কত নেক আমল করি। আবার পবিত্র রমযান মাসে রোযা রাখি। কিন্তু আল্লাহ তাআলার নাফরমানির সেই স্রোত প্রবাহমান, বেগবান! সুদের সাথে সংশ্লিষ্টতা, মিথ্যা কথার সাথে সংশ্লিষ্টতা, গীবত-শেকায়েত, হিংসা, নিষিদ্ধ জিনিসের (যেমন: পরনারী) প্রতি দৃষ্টিপাত, গান বাজনা শোনা ইত্যাদি চলছে। সারা বছর যেমন চলছিল তেমনি চলছে। বিরামহীন এই সব অশ্লীলতা আর গুনাহের বিষয়গুলি গ্রহণ করে আমরা আমাদের ইবাদত নিয়ে সন্তুষ্ট! এখন তো অবস্থা এতোটাই ভয়াবহ যে সুদকে, অশ্লীলতাকে, পরনিন্দাকে আমরা গুনাহ বলেই মনে করি না!

আল্লাহ তাআলা অত্যন্ত দয়ালু। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, তাঁর নাফরমানি করতে থাকব। এর অর্থ হল, আমরা দুনিয়ার হায়াত ফুরাবার আগেই তওবা করে জীবনের প্রবাহ পাল্টে নিলে তিনি আমাদের ক্ষমা করবেন ইনশাআল্লাহ। কিন্তু বেপরোয়া চলতে থাকলে তাঁর শাস্তির ভয় করা উচিত। দুনিয়াতে তিনি অনেক সুযোগ দিতে থাকেন। মৃত্যুর পর আর রেহাই নেই! ধোঁকার মধ্যে থাকাটা চরম বোকামী।

পবিত্র রমযানে অন্তত এই প্রচেষ্টায় ব্রতী হই যে, আল্লাহ তাআলার নাফরমানি ছেড়ে দিই। এখন এটা একদমই সহজ! কারণ এখন শয়তানও বন্দি, আমাদের নফসও (রোযা রাখার দরুণ) দুর্বল। এমন সুযোগ সারা বছর পাওয়া যায় না! হে আল্লাহ! তুমি তৌফিক দেও আমাদের। (আমীন)

Last Updated on November 26, 2023 @ 8:03 am by IslamInLife

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: you are not allowed to select/copy content. If you want you can share it